কেন্দুয়া (নেত্রকোণা) প্রতিনিধি :
নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় ক্ষতিকর কীটনাশক ছিটিয়ে প্রায় দুই একর বোরো ধানী জমি পুড়িয়ে ফেলার ঘটনা ঘটেছে। এঘটনাটি গত ১৮ মার্চ শুক্রবার রাতে উপজেলার হারুলিয়া গ্রামের বেষার বিলে ঘটে। পূর্ব শত্রুতার জেরেই এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষাণী আছিয়া খাতুন। উঠতি ফসলকে হারিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষাণী আছিয়া খাতুন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
কৃষাণী আছিয়া খাতুন জানান, তার একমাত্র সম্বল গ্রামের পাশে বেষার বিলে প্রায় দুই একর জমি রয়েছে। বর্ষায় পানি থাকলেও বোরো মৌসুমে বোরো ধান আবাদ করে যে ফসল পান তাই দিয়ে সারাবছর সংসার চলে। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও ধার-দেনা করে প্রায় ৩০ হাজার টাকা খরচ করে জমিতে বোরো ধান আবাদ করেছিলেন। ইতিমধ্যে ধান গাছে তোর আসতে শুরু করছে। এরেই মধ্যে গত শুক্রাবর রাতে (শবেবরাত রাতে) ক্ষতিকর কীটনাশক ছিটিয়ে ধানী জমি পুড়িয়ে দিয়েছে দুবৃত্তরা। এত ওই কৃষাণী দিশেহারা হয়ে বিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। এঘটনা পরে উপজেলা কৃষি অফিসে ছুটে যান কৃষাণী আছিয়া। কৃ
ষি অফিসের লোকজনে অমানবিক আচরণে নিরাশ হয়ে বাড়িতে ফিরে যান ওই কৃষাণী। এ ঘটনার প্রায় ৬ দিন পেরিয়ে গেলেও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যায়নি কোন কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষাণী আছিয়া খাতুন জানান, গ্রামের জৈনক প্রভাবশালী ব্যক্তি ওই জমির প্রতি লোভ পড়ে কয়েক বছর আগে থেকে। বিভিন্নভাবে জমিটি দখল নিতে নীরিহ ওই পরিবারটিকে নানাভাবে হয়রানি করে আসছেন। এ নিয়ে দেন-দরবারও হয়েছে কয়েকবার। এরপরেও ওই জমি দখল নিতে নানামূখী পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছেন ওই ব্যক্তি। জমিটি দখল নিতে প্রায়ই ওই কৃষাণীকে প্রাণনাশে হুমকী-দমকী দেওয়া হয়। সে ছাড়া তার এত বড় সর্বনাশ কেউ করছে না বলে কৃষানীর ধারণা। ধানী জমি ক্ষতিগ্রস্ত শোকে নাওয়া-খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন আছিয়া। তিনি আরো বলেন, আমার ভাইকে সাথে করে কয়েকটি ধানের গোছা নিয়ে উপজেলা কৃষি অফিসে গিয়েছিলাম।
কৃষি অফিসের লোকজন আমাকে কোন পরামর্শ দেওয়ার তো দুরের কথা আমাদের সাথেআরো বাজে আচরণ করে তাড়িয়ে দিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। হারুলিয়া গ্রামের সাদেক মিয়া জানান, ওই মহিলা খুব কষ্ট করে এবং দার-দেনা করে (ক্ষেতটা লাগাইছে) বোরো ধান আবাদ করেছেন। তার ফসলটা বিষ দিয়ে নষ্ট করায় আমাদের খুব দুঃখ লাগছে।
এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহজাহান কবীর জানান,একজন লোক কয়েকটি ধানে গোছা নিয়ে অফিসে আসছিলেন আমি তাকে সংশ্লিষ্ট ব্লকে দ্বায়িত্বরত কৃষি অফিসারের সাথে যোগাযোগ করার পরামর্শ দিয়েছিলাম। এব্যাপারে কেন্দুয়া থানা তদন্ত ওসি সাইফুল ইসলাম জানান,এঘটনায় কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত সহায়তা প্রদান করা হবে।