কলিহাসান,দুর্গাপুর(নেত্রকোণা)প্রতিনিধি:
ঈদুল আজহার আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। ঈদ উপলক্ষে দেশের নানা প্রান্তে প্রস্তুত রয়েছে সোয়া কোটি গবাদিপশু। নেত্রকোণা জেলার দুর্গাপুর উপজেলাতেও ‘সিংহরাজ’ ও ‘সাধুবাবা’ নামের দুইটি গরু আলাদা কৌতুহল তৈরী করেছে স্থানীয়দের মাঝে। গরু দুটিকে দেখতে ভিড় করছেন উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষ। গত বুধবার সরেজমিন গেলে গরু দুটির বিবরণ জানা গেছে। ওই খামারির মোট ১২টি ছোট-বড় গরু রয়েছে।
বাকলজোড়া ইউনিয়নের গুজিরকোনা গ্রামের মরহুম আলাল উদ্দিন তালুকদারের ছেলে আলম তালুকদার ১৫ মণ ওজনের ‘সিংহরাজ’ ও ‘সাধুবাবা’ নামের দুটি ফ্রিজিয়ান জাতের গরু লালন-পালন করছেন। গরু দুটিকে দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছে অসংখ্য উৎসুক জনতা।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয়ের তথ্য মতে, দুর্গাপুর উপজেলায় ঈদুল আজহা উপলক্ষে এ বছর কতগুলি গরু ও ছাগল প্রস্তুত করা হয়েছে জানতে চাইলে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শিমু দাস সঠিক কোন তথ্য দিতে পারেণনি।
সরেজমিন ঘুরে খামারি আলম তালুকদারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গুজিরকোনা গ্রামের খামারি আলম তালুকদার ২০১৯ সালে ৯৫ হাজার টাকায় একটি ফ্রিজিয়ান জাতের গাভী কিনেন। ২বছর পূর্বে ‘সিংহরাজ’ নামক ষাঁড় গুরুটি জন্ম হয়। গরুটির পুরো শরীর কালো। ওই গরুটি জন্মের ১ বছর পর ‘সাধুবাবা’ নামক ষাঁড়টির জন্ম হয়। গম, ভুষি, কুড়া,বুট ডাল ও শুকনো কড় খাইয়ে নিজের সন্তানের মতো যতেœ গরু দুটিকে বড় করেছেন তিনি। ‘সিংহরাজ’ যার বর্তমান ওজন ১৫ মণ, যা ৬/৭ লাখ টাকায় বিক্রি করতে চান। আর ‘সাধুবাবা’র ওজন ১৩মণ, যা ৫/৬ লাখ টাকায় বিক্রি করতে চান তিনি।
গরু দেখতে আসা দর্শনার্থী মাহবুব তালুকদার বলেন, গরু দুটি দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়। এ সব গরুই ঈদুল আজহায় পশুর হাটের শোভা বাড়ায়। মানুষ উৎসাহ নিয়ে গরু দেখতে যায়। গত রোববার স্থানীয় কুমুদগঞ্জ বাজারে গরুর হাটে নিলে বেশকয়েক জন পাইকার ধর হাকছেন। তবে তিনি পাইকারদের কাছে বিক্রি করবেন না। কোরবানির ্ঈদে উপযুক্ত দাম পেলে বিক্রি করবেন বরে জানান খামারি আলম তালুকদার।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের পশু চিকিৎসক সিদ্দিকুর রহমান ওই খামারিকে সকল প্রকার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। পাশাপাশি এই সময়ে কোনো প্রাণি যাতে কোন রোগে আক্রান্ত না হয় সে জন্য তিনি নিয়মমতো তদারকি করে থাকেন।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শিমু দাস জানান, আমি সম্প্রতি এখানে যোগদান করেছি। তবে ওই ষাঁঢ় দুটির খোঁজ নিয়েছি। স্বাস্থ্য সম্মত খাবার দিয়ে বড় করছেন। দেশীয় পদ্ধতি অবলম্বন করে উনার মতো অনেক খামারি সাবলম্বী হতে পারবে। আমি ওই সকল খামারিদের যথা সম্ভব সহযোগিতা করে যাবো। তবে উপজেলার ইউনিয়ন ওয়ারি টিম করেছি। অচিরেই জানা যাবে কতটি গরু ও ছাগল কোরবানী ঈদে বাজারজাত করা যাবে।