ফুলবাড়ীয়া প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়ার ঐতিহ্যবাহী হাতে তৈরি লাল চিনি দেশখ্যাত ব্র্যান্ড। উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাবেরী জালাল বলেন, তাই আমরা হাতে তৈরি লাল চিনিকে ফুলবাড়ীয়ার জিআই পণ্যে রূপ দিতে আবেদন করছি। হাতে তৈরি লাল চিনি জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেলে ফুলবাড়ীয়ার সুনাম ছড়িয়ে যাবে দেশ থেকে দেশের বাহিরেও।
এই চিনি উৎপাদনে প্রাচীন প্রক্রিয়া করণ কৌশল ও তৈজস ব্যবহার করা হয়ে থাকে। হাতে তৈরি লাল চিনি সম্পূর্ণভাবে কেমিক্যাল মুক্ত এবং স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। হাতে তৈরি এই চিনি ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলা ব্যতীত দেশের আর কোথায়ও উৎপাদিত হয় না। চিনি উৎপাদনে দেশি জাতীয় আখ ব্যবহার হয়ে থাকে। উৎপাদনের জন্য অধিক কার্যকরী ও লাল মাটিতে রোপিত আখ থেকে অধিক লাল চিনি উৎপাদন হয়।
ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়ীয়া উপজেলার হাতে তৈরি এই চিনি কালক্রমে সাদা চিনির বাজার আধিপত্য থাকায় তা এখন ময়মনসিংহ অঞ্চল পর্যন্ত সীমিত থাকলেও এখন দেশের বিভিন্ন জেলায় প্যাকেট জাত লাল চিনি বিক্রি হচ্ছে ।
হাতে তৈরি লাল চিনি ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতির জন্য আবেদন করেছে উপজেলা প্রশাসন। জিআই পণ্যে রূপ দিতে গত ১১ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করা হয়।
জিআই পণ্যের স্বীকৃতির বিষয়ে কথা হয় কৃষক শাকিল আহমেদ এর সাথে তিনি বলেন, আমার বাপ-দাদারা হাতে তৈরী লাল চিনি আবাদ করে আসছে, এটা ২শ বছরের ঐতিহ্য। আমরা চিনি দিয়ে খাবার সেলাইন তৈরী করে খাই, আত্বীয় স্বজন বাড়ীতে আসলে ক্ষির পায়েস মিস্টান্ন জাতীয় অনেক কিছু তৈরী করে থাকি।
‘ফুলবাড়ীয়ার হাতে তৈরী লাল চিনি জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেলে এই অঞ্চলের সুনাম আরও ছড়িয়ে যাবে সর্বত্র।’ এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ নুর মোহাম্মদ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সেলিনা আক্তার, ই-কর্মাস ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের জিআই পণ্য গবেষণা প্রধান খাতুন-এ-জান্নাত আশা, ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ারি মিজানুর রহমান পলাশ,জয়নাল আবদিন বাদল, এড. আব্দুর রাজ্জাক।