কলকাতায় ‘বোন ফোঁটা’ উৎসব উদ্যাপন ও পূজা সংখ্যা প্রকাশ

প্রকাশিত: ৮:৪৭ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৩, ২০২০

বাবুল সাহা। কলকাতা থেকে :
গতানুগতির বাইরে দাড়িয়ে মনন সাহিত্য সংস্থার উদ্যেগে শিয়ালদহস্থিত কৃষ্ণপদ ঘোষ মেমোরিয়াল ট্রাস্ট হলে, ২২নভেম্বর রবিবার বিকেলে উদ্যাপিত হল ‘বোন ফোঁটা’উৎসব ও পূজা সংখ্যা প্রকাশ।


মনন সাহিত্য সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সাহিত্যিক স্নেহাশীষ চক্রবর্তী প্রতিনিধিকে জানান, এই সংস্থা প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই লিটল ম্যাগাজিনের অস্তিত্ব বাঁচিয়ে রাখার সাথে সাথে ‘চন্দ্রপুর মনন ফর লিটারেচর’ বা মনন সাহিত্য সংস্থা সমাজের প্রত্যন্ত অঞ্চলে থাকা অর্থনৈতিক পিছিয়ে পরা মানুষের কাছে নতুন কাপড় ও একবেলার অন্ন তুলে দিতে পৌঁছে যান জেলাভিত্তিক ভাবে। অতিমারীর কারণে এই সময়ে অনেক কিছুই করা সম্ভব হয়নি। তারপরেও সরকারী বিধি মেনে আজকে আমাদের এই বোনফোঁটা উৎসব উদ্যাপন ও পূজা সংখ্যা প্রকাশের আয়োজন করেছি।


এই সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নিগমানন্দ মন্ডল বলেন,সামাজিক এক নতুন পদক্ষেপ,আমাদের এই বোন ফোঁটা ‘বোনের কপালে দিলাম ফোঁটা,নারী নির্যাতনে পড়লো কাঁটা’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে, আজকে আমাদের এই আয়োজন।

বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপচার্য ডঃ সুজিত বসু সরাসরি উপস্থিত থাকতে পারেন নি, তবে ভিডিও বার্তায় যা বললেন,ভাই ফোঁটার রীতি আমাদের সমাজে প্রচলিত আছে কিন্তু বোন ফোঁটার প্রচলন আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় নেই। এ উদ্যেগ সময়পযোগী, কারণ নারী নির্যাতন, নারীদের প্রতি অবমাননা আমরা হরহামেশাই দেখছি। বোনদের প্রতি ভাইদের ভালোবাসা ,সন্মান জানানোর যে রীতি আজকে চালু হতে যাচ্ছে, তা যেন সময়ের সাথে জোড়দার হয় এটা প্রত্যাশা করি এবং যারা এই উদ্যোগের সাথে জড়িত তাদের সাধুবাদ জানাই।

বর্ষীয়ান সাহিত্যিক ষষ্ঠীপদ চট্রোপাধ্যায় উপস্থিত বোনদের কপালে ফোঁটা দিয়ে এর শুভ সূচনা করেন। আনন্দঘন উৎসব মূখর পরিবেশে, এ আয়োজন সকলকে মুগ্ধ করেছে। এ সমাজে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার শক্তি যুগিয়েছে। বর্ষীয়ার সাহিত্যিক মনন সাহিত্য সংস্থাকে আহবান জানিয়েছেন এই দিনটিই যেন প্রতিবছর ‘বোন ফোঁটা’ দিবস হিসাবে পালন করা হয়। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ভবিষ্যতে কোন এক সময় সমাজে ভাই ফোঁটার পাশাপাশি বোন ফোাঁটাও সমাজের রীতি হিসাবে পালিত হবে। সমাজ থেকে নারী নির্যাতন দূর হবে,ভাই বোনেরা একসাথে হাতে হাত রেখে সমাজ উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। সমাজটা আরো সুন্দর হবে।

এ অনুষ্ঠানে আরো যারা উপস্থিত থেকে আলোচনায় অংশ নেন ,তাঁরা হলেন কবি আরন্যক বসু, কবি ও বাচিক শিল্পী আমিত চক্রবর্তী, কবি অনুরুদ্ধ রায় চৌধুরী, কবি জয়দীপ চট্রোপাধ্যায় সহ আরও অন্যান্য গুণীজনরা প্রমূখ। এই মঞ্চ থেকে আরও দুটো নতুন বইয়ের যাত্রা শুরু হয় আনুষ্ঠানিক ভাবে, বই দুটো হলো স্বপ্নের রামধনু, ভালোবাসার উড়ান।অনুষ্ঠানের শুরুতে সন্মানীত অতিথিদের উত্তরীয়, ফুল,মেমেন্টো দিয়ে ররণ করা হয়।