স্বজন ডেস্ক : থাইল্যান্ড ও মিয়ানমার সীমান্তবর্তী কারেন প্রদেশে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে সেনাবাহিনীর তুমুল সংঘর্ষে নারী ও শিশুসহ এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন হাজারো মানুষ। এদের অনেকেই থাইল্যান্ড সীমান্ত এলাকায় আশ্রয় নিয়েছেন।
পশ্চিম থাই সীমান্ত প্রদেশ তাকের কর্তৃপক্ষ বিবৃতিতে জানিয়েছে, গত কয়েকদিন ধরে কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন (কেএনইউ) বিদ্রোহী এবং মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর মধ্যে অব্যাহত লড়াইয়ের কারণে প্রায় ৭০০ মানুষ থাই শহরের মায়ে সোটে পালিয়েছেন।
সব মিলিয়ে সংঘাতের কারণে পাঁচ শতাধিক শিশুসহ আড়াই হাজারের বেশি মানুষ থাইল্যান্ডের সীমান্ত এলাকায় আশ্রয় নিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থাইল্যান্ডভিত্তিক এইড এল্যায়েন্সের এক কর্মকর্তা ইয়ে মিন। তিনি বলেন, যারা আশ্রয় নিয়েছেন তাদের কাছে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিতে থাই সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ চলছে।
কেনএনইউ মিয়ানমারের পুরাতন একটি সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী। প্রায় ১৬ লাখ জনসংখ্যার প্রদেশটির নিয়ন্ত্রণ নিতে লড়াই করছে। শনিবার এক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, যুদ্ধের পরিস্থিতি টের পেয়ে কারেন থেকে অন্তত আড়াই হাজার মানুষ সীমান্ত পাড়ি দিয়ে থাইল্যান্ডে পাড়ি দেয়।
বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানিয়েছে, বুধবার থেকে চলমান সংঘাতে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর চারজন নিহত এবং চারজন আহত হয়েছেন। এদিকে জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে গঠিত ছায়া সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বেশ কিছু অস্ত্র জব্দ করেছে বিদ্রোহীরা। তাদের দাবি অনুযায়ী, মিয়ানমার সরকারের ১৮ জন সেনা নিহত হয়েছে।
উল্লেখ্য, অং হ্লাইংয়ের নেতৃত্বে গত ১ ফেব্রুয়ারি সু চি সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে সামরিক বাহিনী। প্রতিবাদে জান্তা বিরোধী বিক্ষোভে এ পর্যন্ত ১ হাজারের বেশি বেসামরিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।