খাইবার পাখতুনখাওয়ার ডেরা ইসমাইল খান জেলার পুলিশপ্রধান রউফ কাইসরানি জানিয়েছেন, কুলাচি এলাকায় পুলিশের একটি টহল দলকে লক্ষ্য করে গুলি ও বোমা হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এতে চার পুলিশ সদস্য নিহত হন। পরে কুলাচির প্রায় ৪০ কিলোমিটার উত্তরে ট্যাংক নামক শহরে নিরাপত্তা বাহিনীর একটি গাড়ি লক্ষ্য করে ছোড়া গুলিতে একজন নিহত হন।
পাকিস্তানের মাকরান ডিভিশনের পুলিশ কমিশনার সাইদ আহমেদ উমরানি জানান, বেলুচিস্তান প্রদেশের বিভিন্ন জায়গায়ও গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে এসব ঘটনায় কেউ হতাহত হননি।
এর আগে বুধবার (৭ ফ্রেবুয়ারি) বেলুচিস্তান প্রদেশে ভয়াবহ বিস্ফোরণে ২৬ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় পাকিস্তানজুড়ে নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগ সৃষ্টি হয়। চার প্রদেশের মুখ্য সচিব ও পুলিশের মহাপরিদর্শকদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিকান্দার সুলতান রাজা। ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নিরাপত্তা বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলো।
বৃহস্পতিবার সকালে ভোটগ্রহল শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশজুড়ে বিভিন্ন সড়কে ও ভোটকেন্দ্রে হাজার হাজার সৈন্য মোতায়েন করা হয়। একই সঙ্গে ইরান ও আফগানিস্তানের সঙ্গে পাকিস্তানের সীমান্ত সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
তাছাড়া আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পাকিস্তানজুড়ে সাময়িক স্থগিত রাখা হয়েছে ইন্টারনেট সংযোগ ও টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থাও। এরপরও খাইবার পাখতুনখোয়ায় বোমা হামলা ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটলো।
তাছাড়া উত্তর ওয়াজিরিস্তানের কিছু ভোটকেন্দ্র পাকিস্তানি তালেবানরা দখলে নিয়েছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয় প্রার্থীরা। দেশটির উত্তরপশ্চিমাঞ্চলের এই এলাকার নির্বাচনী প্রার্থী মহসিন দাওয়ার পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের (ইসিপি) কাছে লেখা চিঠিতে জানিয়েছেন, তার নির্বাচনী এলাকার কিছু ভোটকেন্দ্র স্থানীয় তালেবান জঙ্গিরা দখলে নিয়েছে; যারা ভোটার ও স্থানীয়দের ভোটের আগে থেকেই হুমকি দিয়ে আসছিল। তবে এই অভিযোগের বিষয়ে দেশটির নির্বাচন কমিশন বা নিরাপত্তা বাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।