খাজা উসমান খাঁ সিলভার পেন অ্যাওয়ার্ড পেলেন ৬ জন গুণী ব্যক্তি

প্রকাশিত: ৯:৩০ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৪, ২০২১
গৌরীপুর প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের গৌরীপুরে “খাজা উসমান খাঁ সিলভার পেন অ্যাওয়ার্ড-২০২১” ঘোষণা ৪ অক্টোবর, সোমবার বিকাল ৩ টায় গৌরীপুর উপজেলার কৃষি অফিস হল রুমে “খাজা উসমান খাঁ সিলভার পেন অ্যাওয়ার্ড-২০২১” এর বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়।
দি ইলেক্টোরাল কমিটি ফর খাজা উসমান খাঁ সিলভার পেন অ্যাওয়ার্ড-এর সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর সভাপতিত্বে ৬ গুণী ব্যক্তিকে অ্যাওয়ার্ড ঘোষণা করেন লেখক, সাংবাদিক ও পেন অ্যাওয়ার্ড অ্যাফেয়ার্স ম্যাগাজিনের সম্পাদক আজম জহিরুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রায়হান উদ্দিন সরকার, ক্রীড়া সংগঠক আলহŸাজ মো. মতিউর রহমান, কবি মো. নূরুল আবেদীন, উপজেলা মহিলা শ্রমিক লীগের সভাপতি তাসলিমা ইয়াসমিন কলি, সাংবাদিক মিলন, মো. আতাউর রহমান, এসিক নারী কল্যাণ সংস্থার সাধারণ সম্পাদিকা খাদিজা আক্তার বিউটি সহ গৌরীপুরের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

শিল্পকলা, শিক্ষা, ভাষা ও সাহিত্যের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন, ময়মনসিংহ জেলার সাহিত্যিক নাজমা মমতাজ , সিলেট জেলার কবি মোছা হাজেরা বেগম, সাংবাদিকতায় যমুনা টেলিভিশন, ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান এ,এস,এম হোসাইন শাহীদ, নেত্রকোণা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও নেত্রকোণা থেকে প্রকাশিত দৈনিক জননেত্র পত্রিকার সম্পাদক এম. মুখলেছুর রহমান খান,
গবেষণাকর্মে নির্বাচিত হয়েছেন কিশোরঞ্জ জেলার গবেষক ও সাহিত্যিক জাহাঙ্গীর আলম জাহান এবং  সমাজসেবায় টাঙ্গাইল জেলার সমাজসেবক ও মালয়েশিয়া খেতাবপ্রাপ্ত দা’তো আব্দুল রউফ।
অ্যাওয়ার্ড কমিটির প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রায়হান উদ্দিন সরকার বলেন, ক্রিয়েটিভ এসোসিয়েশন ও এসিক এসোসিয়েশন এর সহযোগিতায়   সমাজের উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য এক বছর অন্তর অন্তর বীরাঙ্গনা সখিনা সিলভার পেন অ্যাওয়ার্ড ও খাজা উসমান খাঁ সিলভার পেন অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। অক্টোবর মাসের ১২ তারিখের পর যে কোনো একদিন ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের অডিটরিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে  “খাজা উসমান খাঁ সিলভার পেন অ্যাওয়ার্ড-২০১৯ ও ২০২১” এর পদক ও সার্টিফিকেটসহ মোট ১৫জন বিজয়ীদের হাতে তুলে দেয়া হবে। তাছাড়া এ বছরে ’পেন অ্যাওয়ার্ড অ্যাফেয়ার্স-২০২১’ ম্যাগাজিন প্রকাশিত হবে। ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলায় অবস্থিত “দি ইলেক্টোরাল কমিটি ফর খাজা উসমান খাঁ সিলভার পেন অ্যাওয়ার্ড” নামে সংগঠনটি  তিনটি লক্ষ্য নিয়ে কাজ করেছে- ঐতিহাসিক কেল্লা বোকাইনগর অধিপতি ঈশা খাঁর অনুগত রোমান্টিক হিরো খাজা উসমান খাঁর নামে এই অ্যাওয়ার্ড এর আয়োজন করা হয়। পেন অ্যাওয়ার্ড প্রদানের মাধ্যমে ১. ময়মনসিংহের গেীরীপুর উপজেলায় রোমান্টিক হিরো খাজা উসমান খাঁর ইতিহাস অবহিত করা, ইতিহাস ঐতিহ্যকে ধরে রাখা ও সমৃদ্ধ করা; ২. ইলেক্টোরাল ভোটিং সিস্টেম প্রবর্তন ও পরীক্ষামূলকভারে এর প্রয়োগ ও সাফল্য এবং ইলেক্টোরাল ভোটের ফলাফলের মাধ্যমে অ্যওয়ার্ড বিজয়ীদের ঘোষনা। ৩. বৃহত্তর জেলাগুলোতে বা বিভাগে কোন বিশিষ্টজন উল্লেখিত চার বা একাধিক ক্ষেত্রে প্রশংসনীয় বিশেষ অবদান রেখেছেন; তাদের নিকট থেকে প্রোফাইল সংগ্রহ করে ইলেক্টোরাল ভোটের মাধ্যমে অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী ঘোষনা করা।
খাজা ওসমান ছিলেন উত্তর-পূর্ব বাংলার একজন পাঠান সর্দার এবং মহাযোদ্ধা। বারো ভূঁইয়াদের একজন হিসেবে তিনি উত্তর বঙ্গের বৃহত্তর ময়মনসিংহ এবং পরবর্তীতে দক্ষিণ সিলেটে নবাব সমতুল্য জমিদারি করেন। তিনি ছিলেন মানসিংহ এবং মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিদ্বন্দ্বী এবং বাংলার সর্বশেষ আফগান সর্দার ও শাসক। তার পরাজয়ের ফলে বাকী সকল পাঠানকে আত্মসমর্পণ করতে হয় এবং সিলেট অঞ্চলটি সুবাহ বাংলার অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তাকে বাংলার ইতিহাসের সবচেয়ে রোমান্টিক ব্যক্তিত্ব বলে মনে করা হয়। বাহারিস্তান-ই-গায়বী, তুজুক-ই-জাহাঙ্গীরী এবং আকবরনামার মতো বিখ্যাত গ্রন্থে তার জীবনী রয়েছে। ঈসা খাঁর সাথে কাজ করে, উসমান খাঁ বৃহত্তর ময়মনসিংহ জয় করেন। তিনি তার রাজধানী গৌরীপুরে বোকাইনগর দুর্গ শহরটি তৈরি করতে সক্ষম হন এবং এর মাধ্যমে উত্তর-পূর্ব বাংলার উপর তার নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়। সম্রাট আকবরের মৃত্যুর পরে, ১৫৯৯ সালে উসমান বোকাইনগর দুর্গ পুনর্র্নিমাণ করে একে ২০,০০০ সৈন্যের একটি শক্তিশালী সামরিক ঘাঁটিতে পরিণত করতে সক্ষম হন। উসমান হাসানপুর এবং এগারোসিন্দুরে আরও দুটি দুর্গ প্রতিষ্ঠা করেছিলের।