স্বজন ডেক্স :প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন সাংবাদিকতা হচ্ছে সমাজের দর্পণ। আর যেটা সমাজের দর্পণ, তাতে যেন মানুষের চিন্তা চেতনাটা ফুটে উঠে। তার মধ্যে মানবতাবোধ যেন থাকে। তারা যেন মানুষের কল্যাণে কাজ করে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা নিজেই সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। একবার তিনি সাপ্তাহিক মিল্লাত নামে একটি পত্রিকা করেছিলেন। ইত্তেহাদ, ইত্তেফাকের সঙ্গেও তিনি জড়িত ছিলেন। নতুন দ্বীন নামে আওয়ামী লীগ একটি পত্রিকা বের করে। সেদিক থেকে আমি বলবো, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের সন্তান হিসেবে আমিও সাংবাদিক পরিবারের সন্তান।’
রবিবার (২৫ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর পাঁচ তারকা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির রজতজয়ন্তী-২০২০ উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন তিনি।
সাংবাদিকদের মানুষের কল্যাণে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘নীতিহীন সাংবাদিকতা যেন না হয়। নীতিহীন সাংবাদিকতা কখনও দেশ ও জাতির কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না; বরং ক্ষতিগ্রস্ত করে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটা সময় ছিল, আমাদের দেশে যতই অন্যায় হোক, দুর্নীতি হোক, ধামাচাপা দেওয়া হতো। আমাদের সরকার কিন্তু তা করছে না। আমরা কখনও এটা চিন্তা করি না যে, সে আমার দলের কিনা। এতে দলের ক্ষতি হবে কিনা। যে অন্যায় করেছে, তার বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। দুর্নীতির বীজ বপন করে গেছে পঁচাত্তরের পনেরই আগস্টের পর অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করা দলগুলো। তারা দুর্নীতিকে শুধু প্রশ্রয় দিতো না, নিজেরাই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়তো।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা অনেক ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেন। এ জন্য আপনাদের ধন্যবাদ জানাই। কিন্তু আপনারা এমন কোন রিপোর্ট করবেন না, যেগুলো মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ায়।’
জাতির পিতার বক্তব্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকতাটাকে আমরা নিরপেক্ষ চাই এবং দেশ ও জাতির জন্য যেন কর্তব্যবোধ থেকে হয়। নীতিহীন সাংবাদিকতা কোনও দেশের কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না। জাতির পিতা বলেছিলেন, নীতিহীন রাজনীতি যেমন দেশ ও জাতিকে কিছু দিতে পারে না, তেমনি নীতিহীন সাংবাদিকতা দেশের কোনও কল্যাণ করতে পারে না। অনেক ক্ষেত্রে সমাজকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সাংবাদিকতায় আমরা কখনও বাধা দেইনি। স্বাধীনতার পর জাতির পিতা আপনাদের সেই সুযোগ দিয়েছেন।’
এ সময় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির রজতজয়ন্তী উদযাপন কমিটির চেয়ারম্যান ও সাবেক সভাপতি শাহজাহান সরদার, বর্তমান সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ, সাবেক সভাপতি শাহেদ চৌধুরী, সহ-সভাপতি নজরুল কবীর, সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ চৌধুরী, প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা ফিরোজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।