শাহ্ আলম ভূঁইয়া ও রিপন চন্দ্র বর্মণ, নান্দাইল আঞ্চলিক অফিস:ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কে নান্দাইল উপজেলার ঘোষপালা নামকস্থানে মাইক্রোবাস ও পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষে পিতা-পুত্রসহ তিনজন নিহত ও ১২ জন আহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন- শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ফাহাদ আলম (৩২) ও তার পাঁচ বছরের পুত্র সন্তান তোরান। এঘটনায় আহত ঝর্ণা আক্তার (৪৫) নামে এক নারী ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এই ঘটনাটি ঘটে।
জানা যায়, শেরপুরের শ্রীবরদী ও জামালপুরের বকশিগঞ্জের পরস্পর আত্মীয়-স্বজনের একটি দল মাইক্রোবাসে করে কিশোরগঞ্জের নিকলী হাওর বিলাশে যাচ্ছিল। ময়মনসিংহ হয়ে নান্দাইল উপজেলার ঘোষপালা নামক স্থানে পৌঁছলে মহাসড়কে একটি মৃত কুকুরকে পাশ কাটিয়ে মাইক্রোবাসাটি অতিক্রম করার সময় বিপরীতমুখি একটি পিকআপের মুখোমুখি সংষর্ষে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
ঘটনার পরপরই স্থানীয় এলাকাবাসী ও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন আহতদের উদ্ধার করে নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। ঘটনাস্থলেই ফাহাদ আলম (৩২) ও তার ৫ বছরের ছেলে তোরান মারা যান। নিহত ফাহাদ আলম শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার জলংগা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বলে জানা গেছে।
দুর্ঘটনায় আহতরা হলেন- জামালপুরের বকশিগঞ্জের শারমিন (১৮), শাহনাজ (২৫), ঝর্ণা আক্তার (৪৫), শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার নিহতের স্ত্রী রেবু (২৫), হাসিনা শাহীন (৫২), হুসাইন আহম্মদ (২৭), বন্যা (২০), জারিফ (১২), ফেরদৌসী (৫২), জেবু (৩০), ময়মনসিংহ সদরের শামীম (২২) প্রমুখ। গুরুতর আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত ঝর্ণা আক্তার (৪৫) মারা গেছেন।
নান্দাইল হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মঞ্জুরুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মৃতদের উদ্ধার করে মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।