॥
গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি :
ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার সিধলা ইউনিয়নের বেলতলী মধ্যপাড়ায় শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর/২০২০) বাথরুম ও পানির সেফটি ট্যাংকির স্যান্টারিংয়ের বাঁশ-কাঠ উঠাতে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে রাজমিস্ত্রী মোমিনুল ইসলাম (৩২)। তাকে বাঁচাতে গিয়ে বাসার মালিক মনিরুজ্জামান কামাল (৩০) গুরুত্বর আহত হন। হাসপাতালে নেয়ার পত্রে রাজমেস্ত্রী ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মালিকের মৃত্যু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, বেলতলী গ্রামের মৃত জালাল উদ্দিনের পুত্র মনিরুজ্জামান কামাল (৩০) নিজবাড়িতে হাফবিল্ডিং ঘরের সাথে বাথরুম ও পানির ট্যাংকি তৈরি করেন। সেই ট্যাংকি কাজ করেন একই গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের পুত্র মোমিনুল ইসলাম (রাজমেস্ত্রী) ও এরশাদ আলী (রাজমেস্ত্রী)।
শনিবার পানির ও বাথরুমের ট্যাংকির সেন্টারিং এর মালামাল (বাঁশ-কাঠ) উত্তোলনের জন্য নিচে নামে রাজমেস্ত্রী মোমিনুল ইসলাম। এরপর তার আর কোন সাড়াশব্দ না পাওয়ায় এরশাদ বাসার মালিককে খবর দেন। বাসার মালিক মনিরুজ্জামান কামালও ডাকাডাকি করে রাজমিস্ত্রী মোমিনুলের হদিস পায়নি। অবশেষে রাজমিস্ত্রিকে বাঁচাতে সে নিজেই ট্যাংকির ভিতরে ঢুকেন। মুর্হূতের মাঝে সেও অজ্ঞান হয়ে ট্যাংকির ভিতরে পড়ে যান।
এরপর পরিবার ও প্রতিবেশী লোকজন ট্যাংকির ভিতর থেকে বিশেষ কৌশল করে দু’জনকে উদ্ধার করে। এদের মধ্যে মোমিনুল ইসলামকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান। বাড়ির মালিক মনিরুজ্জামান কামাল ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। নিহত মনিরুজ্জামানের ভাই মোঃ কামরুজ্জামান মাস্টার জানান, সেফটি ও পানির ট্যাংকির ভিতরে অক্সিজেনের অভাবে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে।
গৌরীপুর থানার সাব ইন্সপেক্টর মোঃ জামাল উদ্দিন জানান, ট্যাংকির কাজ শেষে দীর্ঘদিন যাবত যাতে কোন শিশু পড়ে না যায় তার জন্য ঢাকনা লাগানো লাগানো অবস্থায় ছিলো। সেই ট্যাকিংর ভিতরের থাকা কাঠ-বাঁশ উত্তোলন করতে গিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, এ ঘটনায় গৌরীপুর থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।