স্বজ্ন ডেক্স : বাংলাদেশের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার সন্ধ্যা ৭টা ২৫ মিনিটে মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)
।
রবিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) মৃতু্র বিষয়টি জানিয়েছে তার ছেলে সুমন মাহবুব।
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের মৃতু্তে গভীর শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপিত মো. আবদুল হামিদ, প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্পিকার শিরীন শারমীন চৌধুরী, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ৪ সেপ্টেম্বর অ্যাটর্নি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। এরপর গত ১৮ সেপ্টেম্বর ভোরে হার্ট অ্যাটাক হলে মাহবুবে আলমকে দ্রুত আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার হৃদযন্ত্র স্বাভাবিকভাবে কাজ করছিল না বলে জানান চিকিৎসকরা। তবে গত ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে আগের তুলনায় তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি ঘটতে শুরু করে। পরে গত ২০ সেপ্টেম্বর তার করোনা নেগেটিভ আসে। তবে এরপর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক পুত্র ও এক কন্যাসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। পুত্র সুমন মাহবুব সাংবাদিকতা পেশায় ও কন্যা শিশির কনা আইন পেশায় রয়েছেন।
৭১ বছর বয়সী মাহবুবে আলম ২০০৯ সাল থেকে বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্বে ছিলেন। ১৯৭৫ সালে হাই কোর্টে আইন পেশায় যুক্ত হন তিনি। ১৯৮০ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হন। ১৯৯৯ সালে তিনি সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী হিসাবে তালিকাভুক্ত হন এবং ২০০৪ সালে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত হন। এ জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ১৯৯৮ সালের ১৫ নভেম্বর থেকে ২০০১ সালের ৪ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশের অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। মাহবুবে আলম সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ১৯৯৩-৯৪ সালে সম্পাদক ও ২০০৫-২০০৬ সালে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরে ২০০৯ সালের ১৩ জানুয়ারি বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হন।
তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের বিচারের জন্য সংবিধানের ৫ম, ৭ম ও ১৩তম, ১৬তম সংশোধনী মামলা, মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত কাদের মোল্লা, দেলোয়ার হোসেন সাঈদী, মো. কামরুজ্জামান, আলী আহসান মুজাহিদ, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী, মতিউর রহমান নিজামীসহ অনেকের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাপিলেট ডিভিশনে মামলা পরিচালনা করেছেন। হাইকোর্ট ডিভিশনে বিডিআর বিদ্রোহ হত্যা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।