ঢাকা প্রতিনিধি : করোনাকালীন দেশের এই খেটে খাওয়া মানুষের পাশে সরকার এবং ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ছাড়া কেউ ছিল না ।’
এই দেশে গরিব মানুষের সেবা করার অনেক লোক, অনেক রকমের প্রতিষ্ঠান, অনেক কার্যক্রম আমরা দেখি । কিন্তু করোনাকালীন তো তাদের কোনও কার্যক্রম আমরা দেখিনি । তখন সবাই ঘরে, তখন মানুষের পাশে আর কেউ নেই । মানুষের পাশে আওয়ামী লীগ আছে । কারণ আওয়ামী লীগ জনগণের সংগঠন, আওয়ামী লীগ জনগণের জন্য সব থেকে বেশি কাজ করে । এই বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নতির জন্যই জাতির পিতা স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। সেই স্বাধীনতার সুফলটা যেন প্রত্যেক মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছায় । আমরা যেন দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে পারি, জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারি, সেটাই আমাদের লক্ষ্য।’
দলের কার্যনির্বাহী সংসদের শনিবারের (৩ আগস্ট) বৈঠকে উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সরকারি বাসভবন গণভবনে তার সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি বলেন, ‘আমরা মানুষের পাশে আছি, থাকবো। আমি দেশবাসীকে এইটুকু বলতে চাই যে, জনগণের সংগঠন হচ্ছে আওয়ামী লীগ, আর আওয়ামী লীগ জনগণের পাশে আছে এবং সেটা এবারও এই দুর্যোগ করোনা মহামারির সময় প্রমাণ হয়েছে। এই অবস্থায় যেখানে বিশ্বব্যাপী প্রবৃদ্ধি কমেছে, অনেকে তো মাইনাসে চলে গেছে, তারপরও আমরা কিন্তু ৫ দশমিক ৬ এর কাছাকাছি অর্জন করতে পেরেছি। হয়তো আমরা আরও বেশি করতে পারবো। অর্থ্যাৎ একদিকে দুর্যোগ মোকাবিলা, অপরদিকে আমাদের দেশের অর্থনীতি সচল করা, মানুষের পাশে দাঁড়ানো, মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করে তাদের উন্নত জীবন দেওয়া—এই লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
উপস্থিত নেতাদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘মাঠ পর্যায়ের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলবেন। জনগণের জন্যই আওয়ামী লীগ সব সময় কাজ করে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চেয়েছিলেন এই জনগণকে একটা উন্নত জীবন দিতে, সেই লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। মুজিববর্ষে সেটাই আমাদের বড় অঙ্গীকার। তিনি বলেন, ‘করোনার কারণে সাংগঠনিক কাযর্ক্রম খুব বেশি চালাতে না পারলেও সাংগঠনিক কার্যক্রমগুলো অব্যাহত রাখতে হবে। যেসব জায়গায় সম্মেলন হয়েছে সেগুলোর পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘সাংগঠনিক শক্তিটা হচ্ছে সবচেয়ে বড়। আওয়ামী লীগের যে তৃণমূল পর্যায়ে সাংগঠনিক শক্তি আছে, এই করোনা মোকাবিলার সময় তারা যখন মাঠে নেমেছে, তখনি সেটা প্রমাণিত হয়েছে। আজকে যে কারণে আমাদের প্রায় ৫২২ জন নেতাকর্মী মৃত্যুবরণ করেছে। এই যে এতো বড় স্যাক্রিফাইস, বোধ হয় আর কোনও দল করেনি।’
এ সময় বিএনপি-জামায়াতের অগ্নি-সন্ত্রাস এবং আন্দোলনের নামে মানুষ হত্যা ও নির্বাচন প্রতিহতের নামে সরকারি সম্পত্তি ধ্বংসের কথা পুনরুল্লেখ করেন সরকার প্রধান। তিনি বলেন, ‘একদিকে যেমন প্রাকৃতিক দুর্যোগ সামলাতে হয়, অন্যদিকে আন্দোলনের নামে যারা ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ করে তাদেরও সামলাতে হয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে হয়েছে।’ সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।