স্টাফ রিপোর্টার :
আগামী ১৬ জানুয়ারী অনুষ্ঠিতব্য পৌর নির্বাচন সমুহ অব্ধা, নিরপে, সুষ্ঠ এবং মতাসীন দলের ও সরকারের প্রভাবমুক্ত সকল দলের প্রার্থীকে সমান সুযোগ, নির্বাচনের দিন ভোটারদেরকে নির্ভয়ে নির্বিঘ্ণে ভোট প্রদান ও বিএনপির পোলিং এজেন্টদের ভোট কেন্দ্রে দায়িত্ব পালনের সুযোগ করাসহ নেতাকর্মীদের উপর হামলাকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ময়মনসিংহে জাতীয়তাবাদি দল বিএনপি সংবাদ সম্মেলন করেছে।
নতুন বাজারস্থ দলীয় কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় ও ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, গত ১২ বছরে আওয়ামীলীগ সরকার ও তার অনুগত নির্বাচ কমিশনের অধীনে জাতীয় বা স্থানীয় কোন নির্বাচন অবাধ সুষ্ট ও নিরপে হয়নি।
এর পরও গণতন্ত্রের বৃহৎ স্বার্থে এবং আন্দোলনের অংশ হিসাবে বিএনপি চলমান পৌর নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছে। দুঃখ জনক হলেও সত্য পৌর নির্বাচনে ভোটের সুষ্ঠ পরিবেশ নেই।
সরকার দলীয়রা বিএনপি প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের চাপের মধ্যে রেখে প্রচার প্রচারণায় বাধা, হুমকি দমকি হামলা ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আতংকের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। কিশোরগঞ্জের কেন্দুয়ায় বিএনপির প্রার্থীর উপর হামলা এবং নেতাকর্মীদের উপর হুমকি, পোষ্টার ছিড়ে ফেলার ঘটনা ঘটেছে। কুলিয়ারচরে নেতাকর্শীেেদর উপর হামলা এবং সাদা পোষাকে নেতাকর্মীদেরকে নির্বাচনের আগে বাড়ি ছাড়তে র্যাব পুলিশের হুমকি দেয়া হচ্ছে।
আগামী ১৬ জানুয়ারী অনুষ্ঠিতব্য ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা পৌর নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীর প্রচারণায় বাধা, পোষ্টার ছিড়ে ফেলা হচ্ছে। গত ১১ জানুয়ারী বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালিয়ে ৩ জনকে আহত করায় অভিযোগ করা হলেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন।
আাগামী ১৬ জানুয়ারী ফুলবাড়িয়া ও মুক্তাগাছা পৌর নির্বাচনে স্বাধীন ভোটাধিকারের মাধ্যমে ভোটাররা যাতে তাদের পছন্দের প্রার্থী নির্বাচিত করতে পারেন তার জন্য সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত থাকবেন কিনা সাংবাদিকদের এমেন প্রশ্নের উত্তরে সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত থাকব। দেখতে চাই সরকার কি করে। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপে না হলে নির্বাচনের সরূপ দেশবাসি ও বিশ্ববাসির কাছে তুলে ধরব।
এ সময় জেলা (দক্ষিণ) বিএনপির আহবায়ক ডাঃ মাহবুবুর রহমান লিটন, মহানগর আহবায়ক অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম, জেলা (দক্ষিণ) যুগ্ন আহবায়ক জাকির হোসন বাবলু, মহানগরের যুগ্ন আহবায়ক আবু ওয়াহাব আকন্দ, জেলা (উত্তর) যুগ্ন আহবায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদার, মহানগর যুগ্ন আহবায়ক অধ্যাপক শেখ আমজাদ আলী, জেলা যুগ্ন আহবায়ক ডাঃ মোফাখারুল ইসলাম রানা, জেলা যুগ্ন আহবায়ক শুক্কুর মাহমুদ, মহানগর যুগ্ন আহবায়ক এডভোকেট হান্নান, জেলা যুগ্ন আহবায়ক আখতারুল আলম, মহানগর যুগ্ন আহবায়ক শামীম আকন্দ, জেলা যুগ্ন আহবায়ক মাহবুবুল আলম, মহানগর যুগ্ন আহবায়ক এ,কে.এম মাহবুবুল আলম, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আবু সাঈদ, জেলা যুবদলের সভাপতি রুকুনোজ্জামান রুকন, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল ইসলাম রাজু, মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জোনায়েদ হোসেন শাকিল, জেলা শ্রমিক দলের সাধারন সম্পাদক মফিদুল ইসলাম মোহন, মহানগর শ্রমিক দলের সভাপতি শহিদুল ইসলাম দুলাল, জেলা (উত্তর) ছাত্রদলের সভাপতি নিহাদ সালমান ভুলন সহ জেলা ও মহানগর বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।