ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি :
পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই ময়মনসিংহের ত্রিশালে অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে প্রায় অর্ধ শতাধিক ইটভাটা। তবে অর্ধ শতাধিক অবৈধ ইটভাটার মধ্যে ২১ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে পরিবেশ অধিদপ্তরের একটি দল অভিযান পরিচালনা করে উপজেলার কানিহারী ইউনিয়নের কুষ্টিয়া ২য়খন্ড গ্রামের একতা নামে একটি ব্রিকসের ভাটা ভেঙে গুড়িয়ে দেয়। বিকেলে আরো দুটি ভাটাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
ত্রিশাল উপজেলার ৬২ টি ইটভাটার মধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে অর্ধ শতাধিক ভাটা। ইটভাটা নিয়ন্ত্রন আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে, নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে এবং পরিবেশের বিপর্যয় ঘটিয়ে ফসলি জমিতে এতগুলো ইটভাটা গড়ে উঠলেও কোনরুপ তৎপরতা নেই সংশ্লিষ্ট দপ্তরের।
উপজেলার কানিহারী ইউনিয়নের কুষ্টিয়া ২য়খন্ড গ্রামে অবৈধভাবে গড়ে উঠা আবদুল মোতালেবের একতা ব্রিকসের স্থানে একটি অটো ব্রিকস করার কথা ছিল। একতা ব্রিকসের মালিক তাতে বাঁধা দেয়। ওই অভিযোগে এর আগে একতা ব্রিকসকে দুই লাখ টাকা জরিমানা ও তা অপসারনের নির্দেশ দেওয়া হয়। নির্দেশ অমান্য করায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে পরিবেশ অধিদপ্তরের একটি দল ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করে ভেঙে গুড়িয়ে দেয় ওই ভাটাটি। বিকেলে সদর ইউনিয়নের বাগান গ্রামের বাগান ও ত্রিশাল ব্রিকস নামে দুটি ইটভাটাকে ৫ লাখ করে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া তছনছ করা হয় ইট তৈরির ব্যবহৃত সরঞ্জামাদি।
অভিযানে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের দায়িত্ব পালন করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নওরীন হক। অপসারন অভিযানে উপস্থিত ছিলেন, জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মিহির লাল সরদার, সহকারী পরিচালক লোভানা জামিল ও ত্রিশাল থানা পুলিশ।
অর্ধ শতাধিক অবৈধ ইটভাটার মধ্যে মাত্র তিনটিতে হানা দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে, উপ-পরিচালক মিহির লাল সরদার জানান, পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ৩য়বারের মত ত্রিশালে অভিযান পরিচালনা করা হলো। অবৈধভাবে গড়ে উঠা একতা ব্রিকসটি আজ ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। দুটি ভাটাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। অবৈধ ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।