ঈশ্বরগঞ্জ(ময়মনসিংহ)সংবাদদাতা :
তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত ঈশ্বরগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রচার প্রচারণায় জমে উঠেছে পৌর এলাকা। পোস্টার আর ব্যানারে ছেয়ে গেছে শহরের অলিগলি। দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উচ্চ শব্দে চলেছে মাইকিং। প্রচারণায় আচরণ বিধি লঙ্ঘন এবং হামলার ঘটনা ঘটেছে বেশ কয়েকবার।
নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘনের দায়ে ভ্রাম্যমান আদালত ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন সমর্থককে আর্থিক জরিমানা করেছেন। নির্বাচনে মেয়র পদে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদন্ধিতা করছেন।
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত হাবিবুর রহমান, বিএনপি মনোনীত মো.জুলফিকার আলী টিপু ,স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা বর্তমান মেয়র আব্দুস ছাত্তার এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত সাফিকুর রহমান শফিক। এছাড়া ৩টি সংরক্ষিত আসনে কাউন্সিলর পদে ১৩ জন এবং ৯টি সাধারণ আসনের কাউন্সিলর পদে ৪৩ জন প্রতিদন্ধিতায় রয়েছেন।
সংরক্ষিত আসন এবং সাধারণ আসনের আলোচনা ভোটারদের কাছে ততটা গুরুত্ব বহন না করলেও আলোচনা রয়েছেন কে হচ্ছেন আগামীর পৌর পিতা। মূলত ভোটারদের মেয়র পদে আলোচনায় রয়েছে আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রাথী হাবিবুর রহমান এবং বর্তমান মেয়র বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুস ছাত্তার।
আলোচিত দুই মেয়র প্রার্থীর মাঝে কার আমলে কতটুকু উন্নয়ন হয়েছে এর চুল ছেঁড়া বিশ্লেষণ করছেন ভোটাররা। আগামী দিনে যার মাধ্যমে পৌরসভার উন্নয়ন সাধিত হবে এমন প্রার্থীকেই মনোনীত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করছেন ভোটাররা। নির্বাচনী প্রচার চলাকালীন সময়ে বিছিন্ন গোলযোগের কারণে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে কি না তা নিয়েও সাধারণ ভোটারের মাঝে সংশয় রয়েছে।
আসন্ন নির্বাচনে ১১টি কেন্দ্রে ২২হাজার ৫শ ৩৪জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। তন্মেধ্যে পুরুষ ভোটার ১১হাজার ২শ ৭১ ও মহিলা ভোটার ১১ হাজার ২শ ৬৩ জন।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হাসান মো. ইমরান বলেন, ইতোমধ্যে নির্বাচনের জন্য ১১টি কেন্দ্রে ৬২টি বুথের জন্য নির্বাচনী কর্মকর্তা নিয়োগ করে তাদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাকির হোসেন জানান, আইন শৃংঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রেখে সকলের নিকট নির্বাচন গ্রহণযোগ্য করার লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন যাদের দায়িত্ব প্রদান করেছে তাদেরকে প্রশাসনিক ভাবে সহযোগিতা করছি এবং তা অব্যহত থাকবে।