শনিবার ( ৬ ফেব্রুয়ারি) ভ্যাকসিন বিষয়ক প্রস্তুতি সম্পর্কে জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান। এসময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা ও অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা। এসময় স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিভিন্ন শাখার পরিচালক ও লাইন ডিরেক্টররাও উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনের আগে সেখানে কর্মকর্তারা বৈঠক করেন। পরে সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক খুরশীদ আলম বলেন, রবিবার সারাদেশে সব জায়গায় ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে অনেক দেশের আগেই বাংলাদেশে ভ্যাকসিন এসেছে, নির্দিষ্ট সময়ে আমরা কাজ শুরু করতে পেরেছি। আশা করছি কাজটা আমরা সুষ্ঠুভাবে কাজটা সম্পন্ন করতে পারবো।
তবে আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতা ও অনেক রকমের অসুবিধা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, তারপরও চেষ্টা করছি আমরা যেন কাজটা ঠিকভাবে করতে পারি।
অধ্যাপক খুরশীদ আলম বলেন, রাজধানী ঢাকাতে ৫০টি হাসপাতালে ২০৪টি টিম কাজ করবে, সারাদেশে ৯৫৫টি হাসপাতালে দুই হাজার ১৯৬টি টিম কাজ করবে। মোট এক হাজার পাঁচটি হাসপাতালে মোট ২ হাজার ৪০০টিম কাজ করবে। এছাড়াও ভ্যাকসিন বিষয়ক কার্যক্রমের জন্য টিম প্রস্তুত রয়েছে সাত হাজার ৩৪৪টি। তবে আপাতত ২ হাজার ৪০০ জনকে দিয়ে কালকের কর্মসূচি শুরু হচ্ছে।
তিনি বলেন, আজ ঢাকার অনেক কেন্দ্র ঘুরে ঘুরে দেখা হয়েছে। সবগুলোতেই মোটামুটি প্রস্তুতি ভালো। আমরা আশা করছি, কোনও ধরনের প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই আমরা টিকার কাজ শুরু করতে পারবো। তবে কিছু কিছু ছোট কেন্দ্রে বিশেষত মাতৃসদনের মতো কেন্দ্রগুলোতে খানিকটা প্রস্তুতির ঘাটতি রয়েছে। আশা করছি সন্ধ্যার মধ্যে সেসব প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে পারবো। রাতে আবার সব কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলবো আবার। তখন যেখানে যা অভাব রয়েছে বা যেখানে যে সমস্যা রয়েছে সেগুলো সমাধানের চেষ্টা করবো।
খুরশীদ আলম বলেন, আজ ৬ ফেব্রুয়ারী দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত করোনা টিকা নেওয়ার জন্য নিবন্ধন করেছেন তিন লাখ ২৮ হাজার ১৩ জন।