বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বড় বড় সড়ক থেকে টোল আদায় করতে বলেছেন উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মনে করেন বিনা পয়সায় সেবার দিন শেষ। আমাদের একটা মনোভাব হচ্ছে, সেবা চাই কিন্তু পয়সা দিতে রাজি নই। এর থেকে বেরিয়ে আসা উচিত। প্রধানমন্ত্রী চান যে আমরা যেসব বড় বড় সড়ক নির্মাণ করছি সেখানে আমরা যেন টোল দেই। তিনি এসব সড়কে টোল আদায় করতে বলেছেন। এছাড়া তিনি বড় বড় মহাসড়কগুলোতে বিশ্রামাগার নির্মাণ করতে বলেছেন। যাতে যাওয়ার পথে একটু বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ থাকে। সেখানে যেন চালক ও সহকারীরা বিশ্রাম করতে পারে সেটাও দেখতে বলেছেন। এ বিষয়ে তিনি সড়ক বিভাগকে নির্দেশনা দিয়েছেন।’
মঙ্গলবার অনুমোদন দেওয়া সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক নির্মাণে কিলোমিটার প্রতি ৮১ কোটি টাকা ব্যয় প্রসঙ্গে পরিকল্পনা কমিশন সদস্য মামুন-আল-রশিদ বলেন, ‘এখানে যে খরচ পড়ছে তা তুলনামূলক হাটিকুমরুল বা এলেঙ্গা সড়কের তুলনায় কম পড়ছে। তিনি জানান, এ প্রকল্পের যে প্রাথমিক প্রস্তাবনা ছিল সেখান থেকে মন্ত্রণালয় ও পরিকল্পনা কমিশন প্রায় ১২ কোটি টাকা ব্যয় কমিয়েছে।’
এ বিষয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, ‘ব্যয় কম বা বেশি হবে না। যেটা প্রয়োজন সেটাই হবে। আর একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, সবকিছুর দাম বাড়ছে। জমির দামের বিপরীতে সরকার তিনগুণ দাম দিচ্ছে। এই প্রকল্পে ৫ কিলোমিটারের মতো এক্সপ্রেসওয়ে রয়েছে। এর ব্যয় অনেক বেশি সেটা মনে রাখতে হবে। আর একটা জিনিস মনে রাখতে হবে, ৬ লেনের এই সড়কের ইকোনমিক রিটার্ন অনেক বেশি। তাছাড়া আমরা এই সড়ক থেকে টোল আদায় করবো। ১৫ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এর সব খরচ উঠে আসবে। যারা টোল দেবেন তারা এই সড়ক ব্যবহার করবেন। টোল না দিলে যাবেন না।’
হালদা নদীর তীর ভাঙন রোধে নেওয়া প্রকল্প প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসনের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘হালদা নদীতে উন্নয়ন কাজ করতে গিয়ে সেখানকার মাছের যেন কোনও ক্ষতি না হয় সেটা দেখতে বলেছেন। এজন্য মৎস্যবিজ্ঞানীসহ সংশ্লিষ্টদের মতামত নিয়ে কাজ করতে বলেছেন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘নদী ড্রেজিংয়ের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা হলো, কোনও কাজ শুরু করে তা ফেলে রাখা চলবে না। যে নদীতে ড্রেজিং শুরু হবে তা যতক্ষণ শেষ না হবে চালিয়ে যেতে হবে। কাজ শুরু করলে তা ফেলে না রেখে শেষ করতে হবে।’