স্টাফ রিপোর্টার :
প্রথম স্বামীর সহায়তায় দ্বিতীয় স্বামী আশিক ইমরানকে হত্যার ঘটনায় প্রথম স্বামী ও স্ত্রীকে বুধবার গ্রেফতার করেছে কোতোয়ালী পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো রাজিবুল ইসলাম রুবেল ও জাকিয়া সুলতানা। গ্রেফতারকৃত পুলিশী জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার দায় স্বিকার করেছে পুলিশ জানিয়েছে।
কোতোয়ালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ফারুক হোসেন জানান, ময়মনসিংহ নগরীর কেওয়াটখালী এলাকার আঃ রউফের মেয়ে জাকিয়া সুলতানা। পার্শ্ববর্তী বলাশপুরের ফয়জুল মিয়ার ছেলে রাজিকুল ইসলাম রুবেলের সাথে প্রেমের মাধ্যমে বিয়ে হয় জাকিয়া সুলতানার। কিছুদিনের মধ্যেই স্বামীর ঘরে থাকাবস্থায় জাকিয়া সুলতানা নতুন করে প্রেমে জড়িয়ে পড়েন একই এলাকার আশিক ইমরানের সাথে। বিয়ে করেন আশিক ইমরানকে।
আশিকের ঘরে থাকাবস্থায় আবারো প্রথম স্বামী রাজিকুল ইসলাম রুবেলের সাথে চলে মন দেয়া নেয়া। জাকিয়া সুলতানা ও রাজিকুল ইসলাম রুবেল দুজনে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেয় তারা আবারো একত্রে ঘর বাধবে। বাধা দ্বিতীয় স্বামী আশিক ইমরান। সে বেচে থাকলে তাদের একত্রে ঘর বাধা হবে না। ওকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিতে হবে। দুজনের পরিকল্পনা এক আশিক ইমরানকে হত্যা করতে হবে। হত্যার পরিকল্পনায় আগে থেকেই রাজিকুল ইসলাম রুবেল চাকু কিনে নিয়ে আসে।
পরিকল্পনা মতে, ১৫ ফেব্র“য়ারী রাতে জাকিয়া সুলতানা তার দ্বিতীয় স্বামী আশিক ইমরানকে কেওয়াটখালী এলাকায় রেললাইনের পাশে ডেকে নিয়ে আসে। সেখানে আগে থেকেই চাকু নিয়ে বসে থাকা প্রথম স্বামী রাজিকুল ইসলাম রুবেল তার শক্র আশিক ইমরান পেয়ে উপুর্যপুরী ছুরিকাঘাত ও জবাই করে হত্যাশেষে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় আশিক ইমরানের পিতা আলাল উদ্দিন বাদি হয়ে কোতোয়ালী মডেল থানায় মামলা নং ৬১(২)২১ দায়ের করে।
পুলিশ পরিদর্শক ফারুক হোসেন আরো জানান, ঘটনার রাতে ঘাতক সুচতুর জাকিয়া সুলতানা তার দ্বিতীয় স্বামীকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে থানায় জিডি করতে আসেন। তার কথা বার্তায় সন্দেহ দেখা দিলে তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এক পর্যায়ে তার স্বামীকে রেল লাইনের পাশে পাওয়া যেতে পারে এমন তথ্যের ভিত্তিতে রাতেই কেওয়াটখালী রেললাইন এলাকায় গেলে আশিক ইমরানের জবাই করা মৃত দেহ পাওয়া যায়। তিনি আরো জানান, জাকিয়া সুলতানা একজন মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে মাদকের একাধিক মামলা রয়েছে।
আটককৃত জাকিয়া সুলতানাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে সে পুলিশের কাছে হত্যার দায় স্বিকার করে। পরে তার প্রথম স্বামী রাজিকুল ইসলাম রুবেলকে বৃধবার রাতে গ্রেফতার করা হয়। তারা উভয়েই এ হত্যার দায় স্বিকার করে বলে ওসি ফিরোজ তালুকদার জানান। তিনি আরো বলেন, হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত চাকু উদ্ধার করা হয়েছে। হত্যার সাথে আরো কেউ জড়িত কিনা তদন্ত চলছে।