স্টাফ রিপোর্টার :
ময়মনসিংহের ভালুকা ও তারাকান্দায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার ভোরে ও বিকেলে পৃথক দুর্ঘটনায় এসব হতাহতের ঘটনা ঘটে।
ভালুকা প্রতিনিধি জানান, ময়মনসিংহের ভালুকায় ডাব বুঝাই একটি পিকআপ রাস্তার উপর দাঢ়িয়ে থাকা অপর একটি গাড়ির সাথে ধাক্কা লেগে পিকআপ মালিক এমরান (২৬)ও ড্রাইভার কাউছার (২৫) ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন। শনিবার ভোররাতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের উপজেলার কাঠালী এলাকায় এ দূর্ঘটনাটি ঘটে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঘটনার সময় নেত্রকোনা থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী ডাব বুঝাই একটি পিকআপ (ঢাকা মেট্রো-ন-২০-৩৯৮২) ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ভালুকা উপজেলার কাঠালী পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে এসে পৌছলে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অপর একটি গাড়ির সাথে ধাক্কা লাগে। এতে পিকআপটির সামনের অংশ দুমড়েমুচরে গিয়ে গাড়িটির মালিক নেত্রকোনা সদরের দুঘাটি গ্রামের চান মিয়ার ছেলে এমরান ও ড্রাইভার নেত্রকোনা সদরের সনোরা গ্রামের সদর আলীর ছেলে কাউসার ঘটনাস্থলেই মারা যান।
হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মশিউর রহমান জানান, লাশ ও দুর্ঘটনাকবলিত পিকআপটি উদ্ধার করা হয়েছে। স্বজনদের আবেদনের প্রেেিত বিনা ময়না তদন্তে লাশ দু’টি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
অপরদিকে শনিবার বিকেল ৪টার দিকে ময়মনসিংহ-নেত্রকোনা আঞ্চলিক মহাসড়কের তারাকান্দার মোজাহারদি গাছতলা বাজার সংলগ্ন এলাকায় ট্রাক ও সিএনজি চালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। নেত্রকোনা থেকে ময়মনসিংহগামী সিএনজি চালিত অটোরিকশাটিকে নেত্রকোনাগামী ট্রাকটি চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই একজনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডেকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে আরো একজনের মৃত্যু হয়। নিহতরা হলেন- বিজন কৃষ্ণ রায় (৫৮) ও আবুল কাশেম (৩২)। বিজন নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার বাগিচাপাড়া গ্রামের বিশ্বেশ্বর রায়ের ছেলে। আবুল কাশেম দুর্গাপুরের বংশীপাড়া গ্রামের নোয়াব আলীর ছেলে।’
তারাকান্দা থানার ওসি মো. আবুল খায়ের বলেন, ট্রাক ও সিএনজি চালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে একজন ও হাসপাতালে একজনের মৃত্যু হয়।