বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
সন্ধ্যা সাতটার দিকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমি ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের পিএস ও তার পরিবারের মাধ্যমে জেনেছি তিনি মারা গেছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় তিনি মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন।’
প্রসঙ্গত, উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ১ ফেব্রুয়ারি সস্ত্রীক সিঙ্গাপুরে যান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। এর আগে থেকেই তিনি গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মওদুদ আহমদের মৃত্যুতে দলের সর্বস্তরে শোক ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানান শায়রুল কবির।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শায়রুল কবির খান বলেন, ‘মওদুদ আহমদ ইন্তেকাল করেছেন। সিঙ্গাপুরে তার সঙ্গে স্ত্রী হাসনা মওদুদ জসীমউদদীন আছেন। তার মেয়ে আমেরিকায় রয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘মৃত্যুর পরবর্তী পদক্ষেপগুলো আমরা পরবর্তীতে জানিয়ে দেবো। এখনও কোনও বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি।’
১৯৪০ সালের ২৪ মে ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির (বর্তমান বাংলাদেশ) নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন মওদুদ আহমদ। তার পিতা মাওলানা মমতাজ উদ্দিন আহমেদ এবং মা বেগম আম্বিয়া খাতুন। ছয় ভাইবোনের মধ্যে মওদুদ আহমদ চতুর্থ। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মান পাস করে লন্ডনে লিঙ্কন্স ইন থেকে ‘বার-অ্যাট-ল’ ডিগ্রি অর্জন করেন। লন্ডনে পড়াশোনা করে তিনি দেশে ফিরে আসেন এবং হাইকোর্টে ওকালতি শুরু করেন। তিনি ব্লান্ড ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ১৯৭৭-৭৯ সালে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সরকারের মন্ত্রী ও উপদেষ্টা ছিলেন মওদুদ আহমদ। ১৯৭৯ সালে তিনি প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং তাকে উপ-প্রধানমন্ত্রী করা হয়। ১৯৮৫ সালের নির্বাচনে মওদুদ আহমদ আবারও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং সরকারের তথ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। পরবর্তীতে তিনি উপ-প্রধানমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী, উপ-রাষ্ট্রপতি, আইনমন্ত্রীসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।