সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভাপতি ও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান।
সভায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়— ইসলারি শরিয়াহ মতে গম, আটা, যব, কিসমিস, খেজুর ও পনির ইত্যাদি পণ্যগুলোর যে কোনও একটি দ্বাদিয়ে ফিতরা প্রদান করা যায়। উন্নতমানের গম বা আটা দিয়ে ফিতরা আদায় করলে অর্ধ সা’ বা ১ কেজি ৬৫০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ৭০ (সত্তর) টাকা প্রদান করতে হবে। যব দিয়ে আদায় করলে এক সা’ বা ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ২৮০ টাকা, কিসমিস দিয়ে আদায় করলে এক সা’ বা ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য একহাজার ৩২০ টাকা, খেজুর দিয়ে আদায় করলে এক সা’ বা ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য একহাজার ৬৫০ টাকা, পনির দিয়ে আদায় করলে এক সা’ বা ৩ কেজি ৩৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য দুই ৩১০ টাকা ফিতরা প্রদান করতে হবে। দেশের সকল বিভাগ থেকে সংগৃহীত গম, আটা, যব, কিসমিস, খেজুর ও পনিরের বাজার মূল্যের ভিত্তিতে এই ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছে। মুসলমানরা নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী এই পণ্যগুলোর যে কোনও একটি পণ্য বা এর বাজার মূল্য দিয়ে সাদাকাতুল ফিতর আদায় করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, উল্লিখিত পণ্যগুলোর স্থানীয় খুচরা বাজার মূল্যের তারতম্য রয়েছে। তদানুযায়ী স্থানীয় মূল্যে পরিশোধ করলেও ফিতরা আদায় হবে। সভায় ফিতরা সংক্রান্ত কমিটির উপস্থিত সদস্যরা উল্লেখ করেন, নেছাব পরিমাণ মালের মালিক হলে মুসলমান নারী পুরুষের ওপর ঈদের দিন সকালে সাদকাতুল ফিতর আদায় করা। ওয়াজিব হয় ঈদের নামাজে যাওয়ার আগে ফিতরা আদায় করতে হয়।
সভায় ইসলামিক ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরসের গভর্নর ড. মাওলানা মুহাম্মদ কাফিলুদ্দীন সরকার, মুফতি মোহাম্মদ রুহূল আমীন, মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান সাঈদ, মাওলানা মো: আব্দুর রাজ্জাক, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক মো: আনিছুর রহমান সরকার, উপ-পরিচালক ড. মাওলানা আবদুল জলীল, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, মুহাদ্দিস মুফতি ওয়ালিয়ূর রহমান খান ও মুফাসসির ড. মাওলানা মুহাম্মদ আবু সালেহ পাটোয়ারীসহ দেশের বিশিষ্ট আলেমরা উপস্থিত ছিলেন।