স্টাফ রিপোর্টার :
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপক সমালোচনার পর ময়মনসিংহে তরমুজের বাজারে অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন। রোজার মাসে তীব্র তাপদাহে মানুষের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে কেজি ধরে উচ্চ মুল্য তরমুজ বিক্রি করায় হঠাৎ করেই তরমুজের বাজারে যেন আগুন লেগেছে।
গত কয়েকদিনে সামাজকি যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাক সমালোচনার প্রেেিত জেলা প্রশাসকের নির্দেশে মঙ্গলবার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতে তরমুজের দাম অতিরিক্ত রাখা এবং নকল রশিদ দেখানোর অপরাধে দুইজন ব্যবসায়ীকে দণ্ড প্রদান করা হয়।
নগরীর নতুন বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় তরমুজ যথাযথ পক্রিয়া অনুসরণ করে বিকিও না করা এবং রশিদ সংরক্ষণ না করা, স্বাস্ত্য বিধি না মেনে ব্যবসা পরিচালনা করায় ৬ ব্যবসায়ীকে জরিমাণা করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ এই জরিমাণা আদায় করেন।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আয়েশা হক বলেন, ‘সাধারণ মানুষের অভিযোগ ছিল, ব্যবসায়ীরা পিস হিসেবে তরমুজ কিনে ওজনে কেজি হিসেবে বিক্রি করছেন। আমরা কাগজপত্র পরীক্ষা করে দেখেছি, ফল আড়তের বেশির ভাগ ব্যবসায়ী মণ হিসেবে কিনে আনেন। কিন্তু কেজি প্রতি ২০ টাকাও লাভ করেছেন কেউ কেউ। এঁদের দুজনকে কৃষি বিপণন আইন ২০১৮ অনুযায়ী দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, আইন অনুসারে ফলের েেত্র কেজিতে ১০ টাকা লাভ করতে পারবেন, এমন বিধান রয়েছে। তবে তরমুজের ক্ষেত্রে কেজিতে ৩ থেকে ৫ টাকার বেশি লাভ করতে পারবেন না এমন বিশেষ নির্দেশনাও রয়েছে। অপরদিকে কেজি বা পিস যেভাবে কিনবে সেভাবেই বেচতে হবে।ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে পুলিশ সদস্য ছাড়াও কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের ময়মনসিংহ জেলা বাজার কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য রমজানের এক সপ্তাহ আগেও তরমুজ ২৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। সে সময় তুলনামূলক বড় ও ভালো মানের তরমুজ ২৭ থেকে ৩০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। রমজান শুরুর আগেই দাম বেড়ে ৩৫-৪০-এ চলে যায়। এভাবে বাড়তে বাড়তে গত কয়েক দিন কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকায় টেনে নিয়ে গেছে কতক অসত ব্যবসায়ীরা।
ভোক্তাদের অভিযোগের প্রেেিত জেলা প্রশাসন নগরীর তরমুজের বাজার মনিটরিং করে এবং অভিযোগের সত্যতা পায়। দেখতে পায় ব্যবসায়ীগণ পিস হিসেবে তরমুজ ক্রয় করে কেজি দরে বিক্রয় করে ভোক্তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত মূল্য নিচ্ছে।
নগরীর নতুন বাজার, চরপাড়া, স্টেশন রোড এলাকায় তরমুজের বাজার মনিটরিং করা হয়। সকল ব্যবসায়ীদের পিস হিসেবে সীমিত লাভে তরমুজ বিক্রয় করতে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আয়শা হক জানান।