যে যেখানে আছেন সেখানেই ঈদ উদযাপন করেন : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ২:৫৭ অপরাহ্ণ, মে ৬, ২০২১

স্বজন ডেক্স :

ঈদ উপলক্ষে ছোটাছুটি না করে যে যেখানে আছেন সেখানেই ঈদ উদযাপন করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘করোনার সময়ে বেঁচে থাকলে আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে তো দেখা হবেই। কিন্তু জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঈদ উপলক্ষে সবাই ছোটাছুটি না করে যে যেখানে আছেন সেভাবেই ঈদ উদযাপন করেন। আর যারা বিত্তশালী আছেন, তারা যারা একটু দুস্থ তাদের সহযোগিতা করেন।’

বৃহস্পতিবার (৬ মে) সকালে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন সংস্থার অবকাঠামো ও জলযানের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি এসব জলযান ও অবকাঠামো এর উদ্বোধন করেন। অন্যদিকে নৌ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে যুক্ত ছিলেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

করোনা প্রদুর্ভাব থেকে সুরক্ষায় থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘করোনা যাতে সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে না পড়ে সে জন্য সবার কাছে আমার অনুরোধ। আপনারা স্বাস্থ্যসুরক্ষা মেনে চলুন। আর এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাতায়াত একেবারে না পারলেই আপনারা করবেন না। কারণ এই যাতায়াতটা করতে গেলেই কে যে সংক্রমিত হবেন আপনি জানেন না। কিন্তু সে যখন অন্য জায়গায় যাবে অনেক লোককে করোনা সংক্রমিত করবে। তখন তাদের জীবন নিয়ে সমস্যা দেখা দেবে। সেটা যাতে না হয় সেজন্যই আমরা কিন্তু যাতায়াত সীমিত করার পদক্ষেপ নিয়েছি। কিন্তু সেই সঙ্গে দেশের মানুষের আর্থিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডগুলো যেন অব্যাহত থাকে, সেটাও সীমিত আকারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে, সেটার জন্য আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।’

নৌ দুর্ঘটনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা আমাদের এই নৌযানগুলো চালান বা পরিচালনা করেন বা যারা ব্যবসা করেন তাদের যাত্রীদের সুরক্ষার দিকটি যেমন দেখতে হবে, যাত্রীদেরও নিজেদের সুরক্ষার কথা চিন্তা করতে হবে। মনে রাখতে হবে একটা নৌযানে কতজন মানুষ উঠতে পারে বা চড়তে পারে। ঠেলাঠেলি করে একসঙ্গে বেশি উঠতে গিয়ে তারপর একটা দুর্ঘটনা হবে এবং নিজেদের জীবন চলে যাবে। এ ব্যাপারে সবাইকে একটু সতর্ক থাকতে হবে, সজাগ থাকতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘তাড়াহুড়া করে যেতে গিয়ে যখন একটা দুর্ঘটনা ঘটে, যে মানুষগুলোর জীবন চলে যায়, আর যারা আপনজন হারিয়ে বেঁচে থাকে তাদের কষ্টের কথাটা একবার চিন্তা করে দেখবেন। একটু ধৈর্য ধরতে হবে। কোনও একটা বিপদ আসলে ধৈর্য ধরতে হবে, সবুর করতে হবে। সেই সবুরটা সবারই করা উচিত এবং নিয়ম মেনে চলতে হবে। সেটাই আমরা চাই। এছাড়া যেসব নৌ-যান চলাচল করে আমাদের প্রত্যেকেরই রেজিস্ট্রেশন থাকা উচিত। রেজিস্ট্রেশন না থাকার কারণে অনেক সময় কে কার কী ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা সেগুলো পাওয়া যায় না। তাছাড়া নৌযানের চলতে গেলে কতগুলো নিয়ম মেনে চলতে হবে। হয়তো একটা ঘটনা ঘটলো, সবাই এক দিকে ছুটে গেলেন সেটা দেখতে। সেখানে কিন্তু নৌকাডুবি ঘটে যায় বা লঞ্চডুবি হয়ে যায়। কাজেই নিয়মগুলি মেনে চলা একান্তভাবে অপরিহার্য।’