আসছে ইয়াস ঘূর্ণিঝড় হয়ে : প্রস্তুত আশ্রয় কেন্দ্র

প্রকাশিত: ৬:৩৩ অপরাহ্ণ, মে ২৪, ২০২১

স্বজন ডেক্স : পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও আশপাশের এলাকায় সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় উপকূলীয় শ্যামনগর ও আশাশুনী উপজেলাসহ জেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে দুর্যোগ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার শতভাগ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনাসহ বিভিন্ন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ এর ভয়াবহতা থেকে উপকূলের মানুষের জানমাল রক্ষায় প্রস্তুতি শুরু করেছে প্রশাসন। এ লক্ষ্যে বরিশাল জেলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৩১৬টি সাইক্লোন শেল্টার এবং আরও ৭৫৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

বরিশাল জেলায় মোট ৩১৬টি বিশেষায়িত সাইক্লোন শেল্টার রয়েছে। এছাড়া দুর্যোগকালীন আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের মতো জেলায় ৭৫৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাকা ভবন রয়েছে। সাইক্লোন শেল্টার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৬ লাখ ৪২ হাজার মানুষ এবং প্রায় ৫০ হাজার গবাদিপশু নিরাপদ আশ্রয় নিতে পারবে।

ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানলে স্থানীয় জনগণের মাঝে বিতরণের জন্য জেলায় ৮৪ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ১৫ লাখ টাকা রয়েছে। পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করা হচ্ছে। সরকারের যে কোনো নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য জেলা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে বলে জানান তিনি।

এদিকে উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাব্য আঘাত হানার খবরে ওই সব সাইক্লোন শেল্টার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বাথরুম-টয়লেট ব্যবহার উপযোগী এবং সুপেয় পানি ও বিদ্যুতের ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ না থাকলে বিকল্প ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এছাড়া শুকনো খাবারেরও ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

এদিকে, সাতক্ষীরা জেলায় ১৪৫টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে। এছাড়াও ১৫০০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ১৮৩ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য মজুদ রয়েছে। ২ কোটি ১৫ লাখ টাকার নগদ অর্থ সহায়তার জন্য বরাদ্দ রয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও ওয়াটার ট্যাংকি রয়েছে। পুলিশ, আনসার, বিজিবি ও স্বাস্থ্য বিভাগ ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে। জেলা প্রশাসন সব সময় সজাগ থেকে বরাবরের মতো দুর্যোগ মোকাবিলায় সক্ষম হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।