স্বজন ডেক্স : বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণের ৮০ ভাগই এই ভাইরাসের ভারতীয় ধরন হিসেবে পরিচিত ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট থেকে হয়েছে বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে।
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) এবং ইনস্টিটিউট ফর ডেভেলপিং সায়েন্স অ্যান্ড হেলথ ইনিশিয়েটিভস (আইডিএসএইচআই) এ গবেষণা চালিয়েছে।
একই সঙ্গে দেশে অজানা একটি ভ্যারিয়েন্টও শনাক্ত হওয়ার তথ্যও জানিয়েছেন গবেষকরা।
বিগত ১৬ তারিখে আইইডিসিআর বাংলাদেশ কোভিড ১৯ ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের (ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট) শনাক্ত সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশিত হবার পর থেকেই আইইডিসিআর এ পর্যন্ত ৫০ টি নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিং সম্পন্ন করেছে। এসকল নমুনার মধ্যে ৪০টি (৮০ শতাংশ) নমুনায় ডেল্টা বা ভারতে পাওয়া ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে। ৮টিতে (১৬ শতাংশ) নমুনায় দক্ষিণ আফ্রিকা ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা থেকে সংগৃহীত ১৬টি নমুনার ১৫টিতে, গোপালগঞ্জ জেলা থেকে সংগৃহীত ৭টি নমুনার সবগুলোতে, খুলনা শহর থেকে সংগৃহীত ৩টি নমুনার সবগুলোতে, ঢাকা শহরের ৪টির মধ্যে ২টিতে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা থেকে ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলায় আসা ৭ জনের নমুনায় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে। এছাড়া ভারত থেকে আসা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট আক্রান্ত বিভিন্ন জেলার অপর ৩ বাসিন্দা চুয়াডাঙ্গা ও খুলনায় চিকিৎসাধীন আছেন।
ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট আক্রান্তদের মধ্যে ৮ জনের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে ভ্রমণের ইতিহাস আছে। ১৮ জনের বিদেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের সংস্পর্শে আসার ইতিহাস আছে। অপরদিকে ১৪ জন অর্থাৎ ৩৫ শতাংশ রোগীর বাংলাদেশের বাইরে ভ্রমণের অথবা বিদেশ থেকে আসা ব্যক্তির সংস্পর্শে আসার ইতিহাস পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের কমিউনিটি সংক্রমণ হয়েছে। দেশের সীমান্তবর্তী এলাকাসহ অন্যান্য জেলায় করোনা ভাইরাসে সংক্রমণ হার বাড়ছে।
সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টসহ অনান্য ভ্যারিয়েন্টের বিস্তার রোধে আইইডিসিআর দেশের জনসাধারণকে সঠিকভাবে মাস্ক ব্যবহারের পাশাপাশি অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি যেমন বিনা প্রয়োজনে ভ্রমণ থেকে বিরত থাকা, জনসমাগম এড়িয়ে চলা, অন্যদের থেকে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাচল করা এবং নিয়মিত সাবান পানি দিয়ে হাত ধোয়া ইত্যাদি মেনে চলার জন্য অনুরোধ করেছে।