মুজিববর্ষে সরকারের উপহার হিসেবে দ্বিতীয় পর্যায়ে ঘর ও জমি পাচ্ছে আরও ৫৩ হাজারেরও বেশি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার।
রোববার (২০ জুন) বিনামূল্যে দুই শতক জমিসহ সেমি পাকা ঘর উপহার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে করবী হলে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস। এর আগে প্রথম দফায় ১ম পর্যায়ে গত ২৩ জানুয়ারি দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট সেমি পাকা গৃহ ও ব্যারাকে ৬৯ হাজার ৯০৪টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে বিনামূল্যে জমিসহ গৃহ প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
ড. আহমদ কায়কাউস বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর সর্বপ্রথম জাতির পিতাই দেশের ভূমিহীন-গৃহহীন-ছিন্নমূল অসহায় পরিবার পুনর্বাসনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজস্ব উদ্যোগে ১৯৯৭ সনে শুরু হওয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে সারা দেশে ভূমিহীন, গৃহহীন ও ছিন্নমূল পরিবার পুনর্বাসনের লক্ষ্যে কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ১৯৯৭ সাল থেকে মে ২০২১ পর্যন্ত সময়ে মোট ৩ লাখ ৭৩ হাজার ৫৬২টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে (ব্যারাক, বিশেষ ডিজাইনের ঘর, নিজ জমিতে ঘর, দুই শতক জমিসহ দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট সেমিপাকা একক গৃহ ইত্যাদি)।
তিনি বলেন, মুজিববর্ষে ‘বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’ প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে দেশের সব ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
ড. কায়কাউস বলেন, ‘আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে গৃহ নির্মানের জন্য্য ঋণ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু ভূমিহীনদের ডেকে এনে তাকে জমির মালিক এবং জমি দেওয়ার এই নজির একটি মডেল প্রকল্প এবং আমাদের জন্য গর্ব করার বিষয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সংকটের মধ্যেও ঘোষণা দিয়েছিলেন একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না। সেই প্রকল্প আমরা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।
দেশে ক শ্রেণিতে গৃহহীন ও ভূমিহীনের সংখ্যা ২ লাখ ৯৩ হাজার ৩৬১ এবং খ শ্রেণিতে ৫ লাখ ৯২ হাজার ২৬১ জন জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই আরও ১ লাখ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে বিনামূল্যে জমিসহ ঘর দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিনামূল্যে জমি ও গৃহ প্রদানের ঘটনা পৃথিবীর ইতিহাসে এটাই প্রথম ও সর্ব বৃহৎ উল্লেখ করে ড. কায়কাউস বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অন্যতম বিশাল এবং মানবিক এ উদ্যোগ সারা বিশ্বের কাছে দারিদ্র্য বিমোচনে সক্ষমতা প্রমাণের একটি নজির বিহীন ঘটনা।