গফরগাঁও (ময়মনসিংহ) সংবাদদাতা :
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের শিবগঞ্জ বাজার এলাকায় প্রকাশ্যে যুবলীব নেতা মতিউর রহমান মোহন (৩২) এলাপাথারী কুপিয়ে হাতা-পা কেটে হত্যা করেছে দুর্বর্ত্তরা। রবিবার (৪ জুলাই) বিকাল ছয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
মতিউর রহমান মোহন উপজেলার পাঁচুয়া গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে। সে রাওনা ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা এবং রাওনা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি প্রার্থী।
প্রত্যক্ষদর্শী ও থানা পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মতিউর রহমান মোহন সোমবার বিকাল পাঁচটার দিকে বাড়ি থেকে উপজেলার দীঘা গ্রামে শুশুর বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয় । সাথে ছিল গ্রাম পুলিশ ও চাচাতো ভাই কাঞ্চন মিয়া (৩০) । পথিমধ্যে শিবগঞ্জ বাজারে নেমে তার ৪ বছর বয়সী একমাত্র কন্যা মোহনার জন্য দোকান থেকে জামা-কাপড় ক্রয় করে।
বিকাল ছয়টার দিকে মোহন শিবগঞ্জ বাসষ্ট্যান্ডের যাত্রী ছাউনী এলাকায় মোটর সাইকেল উঠে আবার যাত্রা শুরু করার পূর্ব মুহূর্তে দুইজন অজ্ঞাতনামা দূর্বত্ত (এদের মধ্যে একজন কালো মুখোশ পড়া ছিল) মোহনের পথ আটকায় । ধারালো অস্ত্র (রামদা) বের করে কোপাতে থাকে মোহনকে ।
এক পর্যায়ে মোহনকে টেনে হেঁচড়ে মোটর সাইকেল থেকে নামিয়ে রামদা দিয়ে কোপিয়ে প্রথমে হাত-পা কাটে পরে মাথায় ও পেটে এলাপাথারী কুপিয়ে দীঘা গ্রামের দিকে চলে যায়। মোহনের সঙ্গী গ্রাম পুলিশ কাঞ্চন মিয়া মোহনকে বাঁচাতে চাইলে দূর্বত্তরা কাঞ্চনের গলা কেটে নেওয়ার হুমকি দিয়ে লাথি মেরে দুরে সরিয়ে দেয়
। এ সময় গফরগাঁও-ভালুকা সড়কের শিবগঞ্জ বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় অসংখ্য মানুষ ও রিক্সা এবং অন্যান্য যানবাহন চলাচল করলেও কেউ বাঁচাতে এগিয়ে আসেনি। প্রায় ১৫/২০ মিনিট এভাবে পড়ে থাকার পর খবর পেয়ে গফরগাঁও থানার ওসি অনুকুল সরকার ঘটনাস্থলে এসে মোহনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে নেওয়ার পথে মোহনের মৃত্যু হয়।
দিনে দুপুরে এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। রাওনা ইউনিয়ন আওয়ামী, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ও মোহনের পরিবারের লোকজন উপজেলা হাসপাতালে ভিড় করেছে। তাদের কান্নায় পরিবেশ ভারী হয়ে উঠেছে।
মোহনের পিতা আব্দুস ছাত্তার (৬০) চিৎকার করতে করতে বলছে, আমার ছেলের কোন শক্র ছিল না কিন্ত আমার একমাত্র ছেলেকে কেন পরিকল্পিতভাবে খুন করা হল।
গফরগাঁও থানার ওসি অনুকুল সরকার বলেন, এ খুনের ঘটনায় বিভিন্ন বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে।