স্বজন ডেস্ক : বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) স্মার্টকার্ডের অপ্রতুলতায় সরবরাহেও বিলম্ব হচ্ছে । লাইসেন্সপ্রত্যাশীদের প্রায় সাড়ে ১২ লাখ আবেদন ফাইলবন্দি পড়ে আছে।
ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে গ্রাহকদের অভিযোগের শেষ নেই। আবেদন প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে লাইসেন্স হাতে পাওয়া পর্যন্ত পদে পদে পোহাতে হয় ভোগান্তি। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা, দালালদের দৌরাত্ম্য ও স্মার্টকার্ড না থাকার মতো সমস্যাগুলো তো রয়েছেই। ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকায় প্রতিদিন সড়কে পুলিশের হয়রানির মানসিক তাড়া নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে আবেদনকারীদের। সব মিলিয়ে লাইসেন্স পাওয়া নিয়ে একটা হ-য-ব-র-ল অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
১২ লাখ ৪৫ হাজার ড্রাইভিং লাইসেন্স পেন্ডিং আছে। এটা দ্রুত করার জন্য ডিপিএম পদ্ধতিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর গাজীপুর মেশিন টুলস ফ্যাক্টরিকে ওয়ার্ক অর্ডার দিয়ে চুক্তিও হয়েছে। অক্টোবর থেকে প্রিন্টিং শুরু হবে।
নতুন ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য যারা আবেদন করছেন, নির্ধারিত তারিখেই তাদের লাইসেন্স সরবরাহ করার কথা বলছে বিআরটিএ। পাশাপাশি দীর্ঘদিন আটকে থাকা সাড়ে ১২ লাখের মতো লাইসেন্সও আগামী ছয় মাসের মধ্যে গ্রাহকদের হাতে তুলে দেওয়ার কথা বলছে সরকারি সংস্থাটি। আগামী অক্টোবর মাস থেকেই লাইসেন্স প্রদানের এ প্রক্রিয়া শুরু করবে বিআরটিএ।
আর ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য নতুন যারা বায়োমেট্রিক দিচ্ছে, তাদের যথাসময়ে স্মার্টকার্ড সরবরাহ করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে কোনো দেরি হচ্ছে না। পুরোনো ১২ লাখেরও বেশি আবেদন আটকে আছে। সেগুলো সরবরাহ বা কার্ড প্রিন্টের ব্যাপারে আমাদের মেশিন টুলস কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি হয়েছে এ মাসের প্রথম দিকে। তারা ১৫/২০ দিনের মধ্যে কাজ শুরু করবে। কাজ শুরু হলে ৫/৬ মাসের মধ্যে সব লাইসেন্স সরবরাহ করতে পারবো।
জানা গেছে, ড্রাইভিং লাইসেন্স স্মার্টকার্ড সরবরাহকারী হিসেবে চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান টাইগার আইটি ২০১৯ সাল থেকে নিজেদের গুটিয়ে নেয়। এরপর বেশ ভালোই বিপাকে পড়ে বিআরটিএ। তবে বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ দাবি করছে, এ সংকট আর থাকছে না। নতুন আবেদনকারীরা যথাসময়েই স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স পাচ্ছেন। মাদ্রাজ নামক একটি প্রতিষ্ঠান চুক্তি অনুসারে সেটি সরবরাহ করছে।