শাহ্ আলম ভূঁইয়া, প্রধান প্রতিবেদক, নান্দাইল আঞ্চলিক অফিস :
ময়মনসিংহের নান্দাইলে ছয় দিন আগে ধান ক্ষেতে গলা কাটা অবস্থায় পাওয়া অজ্ঞাত বৃদ্ধের মৃতদেহের পরিচয় পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন ও মূল হত্যাকারীকে গ্রেফতার করেছে।
স্থানীয় ও সূত্র পিবিআই জানায়, অজ্ঞাত পরিচয় মৃতদেহ পাওয়ার পর নিহতের ফিঙ্গার প্রিন্ট নিয়ে জানা যায় ওই বৃদ্ধের ঠিকানা। তিনি হলেন নরসিংদির পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের কাতেহারা মহল্লার মো. ফজলুল হকে (৭৫)। গত ২২ সেপ্টেম্বর থেকে তিনি বেড়াতে গিয়ে নিখোঁজ ছিলেন।
জানা যায়, তার বাসায় ভাড়া থেকে সেখানকার একটি টেক্সটাইল মিলে চাকরি করতেন ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামের মো. গিয়াস উদ্দিনের ছেলে আবুল হাসান (২৫)। সেই বৃদ্ধকে তার গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে আসেন।
আবুল হাসানকে গ্রেফতারের পর নান্দাইলের ঘটনাস্থলে নিয়ে গেলে তিনি হত্যাকাণন্ডের কথা স্বীকার করেন।
প্রাথমিক স্বীকারোক্তিতে হাসান জানান, সপ্তাহ খানেক আগে তার স্ত্রীর সিজারে সন্তান হলে বাড়ির মালিক কিছু অর্থ দিয়ে সাহায্য করেন। ওই সময় বেশ কিছু নগদ টাকা মালিকের কাছে দেখে লোভ সামলাতে পারছিলেন না। পরদিন আবার কিছু টাকা ধার চাইলে মালিক দিতে অস্বীকার করেন। এ অবস্থায় তিনি মনে মনে ক্ষিপ্ত হয়ে কৌশলে বাড়ির মালিককে নিজ এলাকায় বেড়ানোর কথা বললে বাড়ির মালিক এতে রাজি হন।
তারপর গত ২২ সেপ্টেম্বর সকালে নান্দাইলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এলাকায় এসে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাফেরা করে রাত গভীর হলে তিনি ওই বৃদ্ধকে নান্দাইলের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পিছনে ধান ক্ষেতে নিয়ে গলা কেটে হত্যার পর তাঁর পাঞ্জাবির পকেটে থাকা ৩০ হাজার টাকা ও তিনটি মোবাইল ফোন নিয়ে নেন।
মঙ্গলবার ময়মনসিংহ জেলা পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাসের উপস্থিতিতে ঘটনাস্থল ময়মনসিংহের নান্দাইলের কামালপুর গ্রামের ঘটনাস্থলে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেন গ্রেফতার হওয়া আবুল হাসান। এ সময় গলা কাটার কাজে ব্যবহৃত একটি দা উদ্ধার করা হয়।