স্বজন ডেস্ক : ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে বাসভাড়া বাড়ানোর ঘোষণায় পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের ডাকা ‘অনানুষ্ঠানিক’ ধর্মঘট তুলে নেওয়া হচ্ছে। ফলে এখন থেকেই সড়কে বাস চলাচল স্বাভাবিক হবে বলে জানিয়েছে মালিকপক্ষ।
রোববার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, ‘জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির পর সারাদেশের বাস মালিকরা বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়। আমরা তাদের সেন্টিমেন্টের সঙ্গে সহমত পোষণ করেছিলাম। পাশাপাশি জনদুর্ভোগ লাঘবে সবার সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া হয়। তারই আলোকে আজ দুপুরে বিআরটিএ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক হয়। যেহেতু ভাড়া পুনর্নির্ধারণ হয়েছে, আগামীকালই গেজেট হয়ে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যমের মাধ্যমে আমরা সব মালিকদের বাস চালু করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। এখন থেকে নতুনভাবে নির্ধারিত ভাড়া নেওয়া হবে। তবে যাত্রীদের থেকে সরকারনির্ধারিত ভাড়ার বেশি কোনোভাবেই নেওয়া যাবে না।’
জানা গেছে, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার প্রেক্ষিতে পরিবহন মালিকদের দাবির মুখে গণপরিবহনে নতুন করে ভাড়া সমন্বয় করা হয়েছে। নতুন সমন্বিত ভাড়া অনুযায়ী, দূরপাল্লার বর্তমান বাসভাড়া প্রতি কিলোমিটারে ১ টাকা ৪২ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১ টাকা ৮০ পয়সা করা হয়েছে। অর্থাৎ কিলোমিটারপ্রতি যাত্রীকে বাড়তি ৩৮ পয়সা গুনতে হবে। এছাড়া বড় বাসে সর্বনিম্ন ভাড়া ১০ টাকা, মিনিবাসে ৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া মহানগরে বাসের বর্তমান ভাড়া কিলোমিটারে ১ টাকা ৭০ পয়সা, সেটা ২ টাকা ১৫ পয়সা করা হয়েছে। কিলোমিটারে ভাড়া বেড়েছে ৪৫ পয়সা। মহানগরে মিনিবাসের বর্তমান ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে ১ টাকা ৬০ পয়সা। সেটি বাড়িয়ে ২ টাকা ৫ পয়সা করা হয়েছে। কিলোমিটারপ্রতি ৪৫ পয়সা ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। অর্থাৎ দূরপাল্লার বাসের ভাড়া ২৭ শতাংশ আর মহানগরে ২৬ দশমিক ৫ শতাংশ ভাড়া বাড়লো।
রোববার দুপুরে রাজধানীর বনানীতে বিআরটিএ কার্যালয়ে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রেক্ষাপটে গণপরিবহনে ভাড়া পুনর্নির্ধারণে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সঙ্গে পরিবহন মালিক সমিতির নেতাদের বৈঠকে প্রস্তাবের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জ্বালানি তেলের দাম লিটারে ১৫ টাকা করে বাড়ানোর প্রতিবাদে সারাদেশে তিনদিন ধরে পরিবহন ধর্মঘট চলে আসছে।