বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণা ও মুক্তিযোদ্ধাদের আত্নত্যাগের বিনিময়ে আজকের এই স্বাধীনতা- সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১১:২৯ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১১, ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার : সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণা ও মুক্তিযোদ্ধাদের চরম আত্নত্যাগের বিনিময়ে আজকের এই স্বাধীনতা। সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি যথাযথ সন্মান দিয়ে আসছেন। তাদেরকে ভাতা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন সুখি সমৃদ্ধ সোনার বাংলা বাস্তবায়নে তারই সুযোগ্য কন্যা নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বে দেশ আজ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে।

শনিবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধায় ময়মনসিংহ নগরীর ছোটবাজার মুক্তিযোদ্ধা সরণি’র মুক্ত মঞ্চে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও জেলা প্রশাসন আয়োজিত ময়মনসিংহ মুক্ত দিবস ও মহান বিজয় দিবসের ২য় দিনের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, বিএনপি আজ মানবিকতার কথা বলে তাদের নেত্রী সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার দাবী জানাচ্ছেন। কিন্তু তারা কি ভুলে গেছেন ২০০৪ সালে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চেয়েছিল। সেদিনের গ্রেনেড হামলায় প্রধানমন্ত্রী বেচে গেলেও আইভি রহমানসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীর নির্মম মৃত্যু হয়েছিল। সেদিন আপনাদের মানবিকতা কোথায় ছিল?

বীর মুক্তিযোদ্ধা সেলিম সাজ্জাদ এর সভাপতিত্বে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ শীর্ষক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ফকরুল ইমাম এমপি।

এতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সাবেক সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট আবুল কালাম আজাদ, জেলা পরিষদ প্যানেল চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মমতাজ উদ্দিন মন্তা, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সেলিম সরকার, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন মঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদুজ্জামান খান, ময়মনসিংহ মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম সারোয়ার, আওয়ামীলীগ নেতা এডভোকেট বদর উদ্দিন আহমেদ, মহানগর জাতীয় পার্টি সভাপতি জাহাঙ্গীর আহমেদ, জাতীয় পর্টির সাংগঠনিক সম্পাদক ইদ্রিস আলী, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও মুক্তিযুদ্ধের গবেষক সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ মাজহারুল হক, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ারা সুলতানা আনু, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ জাহান চৌধুরী শাহীন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জি. রিমন মোঃ জামায়েল সামী, যুব সংহতি সভাপতি আফজাল হোসেন খান, ময়মনসিংহ ভালুকা উপজেলা সন্তান কমান্ডের সভাপতি সাদেক তালুকদার, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কৃষিবিদ মোঃ বজলুল ইসলাম।

উপস্থাপনায় ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান পেশাজীবী ইউনিট কমান্ড সাধারণ সম্পাদক মোঃ রেজাউল করিম সোহেল ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রকিবুল ইসলাম রকি।

আলোচনা শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিরবেশন করে নিথুয়া একাডেমি-নৃত্য, শীলন-আবৃত্তি, বাঙ্গালি সাংস্কৃতিক সংগঠন-সংগীত, নৃত্যের রংধনু-নৃতা স্বপ্নজোয়া-নৃত্য, ত্রিসপ্তক সাংস্কৃতিক একাডেমি সাংস্কৃতিক, জে, আর ডিভিশন-নৃত্য কিশোর থিয়েটার-নাটক, ঝিলিক মাল্টিমিডিয়া-নাটক।