স্টাফ রিপোর্টার : ময়মনসিংহ জেলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘনায় নানী-নাতিসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এসব দুর্ঘনায় আরও অন্তত ১৭ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে দুপুরের মধ্যে জেলার ত্রিশাল, ভালুকা, মুক্তাগাছা, গফরগাঁওসহ বিভিন্ন এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনা তারা নিহত হন।
নিহতরা হলেন- নানী মরতুজা বেগম (৬০) ও তার নাতি জান্নাত আক্তার (৩), রিনা খাতুন (৫০), জোবায়ের ঢালী (৩২) এবং সিন্নাতুর (১)।
সকাল সোয়া ১০টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের মেহেরাবাড়ী এলাকা সড়ক দুর্ঘটনায় মরতুজা বেগম (৬০) ও তার নাতনি জান্নাত আক্তার (৩) নিহত হয়েছেন। এসময় সেনাবাহিনীর ছয় সদস্য আহত হয়েছেন।
ভরাডোবা মডেল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী হোসেন বলেন, সকালে সেনাবাহিনীর একটি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কে উল্টে যায়। এতে দুই পথচারী নিহত হন।
একই সময়ে ময়মনসিংহ-জামালপুর মহাসড়কের পদুরবাড়ী এলাকায় জামালপুরগামী একটি ট্রাক সিএনজি চালিত অটোরিকশাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলে রিনা খাতুন (৫০) নামের এক নারী মারা যান। এসময় আরিফুল আলম (৩২), আমির উদ্দিন (২৩) ও সিএনজি চালক সজিব (১৭) গুরুতর আহত হন।
মুক্তাগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান জানান বলেন, হতাহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে সকালে গফরগাঁও উপজেলার খুরশিদ মহল এলাকায় মোটরসাইকের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে জোবায়ের ঢালী (৩২) নামের এক প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে। পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুজ্জামান খান বলেন, তিনি গফরগাঁও উপজেলার ঘাগড়া গ্রামের হুমায়ুন ঢালীর ছেলে।
এদিকে দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ত্রিশালের কাজির শিমলা এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা বালুবোঝাই ট্রাকের সঙ্গে একটি বাসের সংঘর্ষ হয়। এতে সাত মাস বয়সী সিন্নাতুর নামের এক শিশু নিহত হয়েছে। এসময় ওই শিশুর মাসহ আরও অন্তত আটজন আহত হয়েছেন।
ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইন উদ্দিন বলেন, আহতদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে গুরুতর আহত শিশুর মা অমি আক্তারকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহত সিন্নাতুর সদর উপজেলার সুতিয়াখালী এলাকার রুবেল মিয়ার মেয়ে।