স্বজন ডেস্ক : মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদে বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের বড় কোন ঝুঁকির আশঙ্কা নেই। এ ছাড়া বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ এখনো ঝুঁকিসীমার অনেক নিচে রয়েছে। এ ধারা সামনের সময়ে অব্যাহত রাখতে সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) গণভবনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও অর্থ বিভাগের অফশোর ট্যাক্স অ্যামনেস্টি এবং শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক সংকটের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতি পর্যালোচনা শীর্ষক উপস্থাপনা অবলোকন করেন।
পরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে শ্রীলঙ্কার চলমান সংকটের কারণ ও এর প্রতিক্রিয়া নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
এতে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের সাথে বাংলাদেশের অর্থনীতির বিভিন্ন সূচক পর্যালোচনা করে দেখা হয়। প্রায় সকল সূচকেই বাংলাদেশের অর্থনীতি তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল অবস্থায় আছে মর্মে মত প্রকাশ করা হয়। তবে, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি, খাদ্যপণ্য ইত্যাদি অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে ইমপোর্টেড ইনফ্লাশন হিসেবে সৃষ্ট অভ্যন্তরীণ বাজারে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে একটি সমন্বিত রাজস্বনীতি ও মুদ্রানীতি বাস্তবায়নের উপর জোর দেওয়া হয়।
সভায় অর্থমন্ত্রী, জ্বালানি উপদেষ্টা, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থ সচিব, ইআরডি সচিব এবং ব্যাংকিং সচিবসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।