কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে এসে কেন্দ্রীয় ওলামালীগ নেতার ছেলে আটক

প্রকাশিত: ৮:০২ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৩, ২০২২

ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি :
গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার দিনে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ভূয়া পরীক্ষার অভিযোগে আটক হয়েছে মাহবুব হাসান নামের এক শিক্ষার্থী। জাল সনদসহ আটক হওয়া ওই শিক্ষার্থী কেন্দ্রীয় ওলামা লীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট আব্দুর রহীম পীরের ছেলে বলে জানা গেছে। ওই ওলামালীগ নেতা নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় কেেেন্দ্র বি ইউনিটের পরীক্ষা চলাকালে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে সামজিক বিজ্ঞান অনুষদের ৬০১ নং কক্ষ থেকে সন্দেহজনক ভাবে মাহবুব হাসান নামের এক শিক্ষার্থীকে আটক করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আটক হওয়া শিক্ষার্থীর কাছ থেকে একাধিক জাতীয় পরিচয়পত্র সহ ভূয়া সনদ, সিভি, রেজিস্ট্রেশন কার্ড উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সনদ জালিয়াতির অভিযোগ স্বীকারও করে আটক হওয়া ওই শিক্ষার্থী। তবে জিজ্ঞাসাবাদের সময় এলামেলো তথ্য ও পরিচয় দেয় সে।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদে ২০১৯ সালে স্নাতক পাসের সন হিসেবে উল্লেখ রয়েছে। অপরদিকে এইচএসসি পাশের সনদে একটিতে ২০১৯ সন এবং অন্য একটিতে ২০২০ উল্লেখ আছে। ওই ভূয়া পরীক্ষার পিতার দেয়া তথ্যে তার ছেলে মাহবুব হাসান দুই থেকে ৩ বছর আগে এইচএসসি পাশ করেছে। পিতার দেয়া তথ্য সঠিক হলে মাহবুব হোসেনের এই ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহনের সুযোগ নেই। আটক হওয়া শিক্ষার্থীর বাড়ি শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতি উপজেলার ছোট মালিঝিকান্দা গ্রামে।

পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ত্রিশাল উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদের ভ্রাম্যমান আদালতে হাজির করলে অভিযোগ এবং অপরাধের ব্যপ্তী বেশী ও তদন্তের প্রয়োজনে তা সাধারণ মামলা হিসেবে পরিচালনা করতে পরামর্শ দিলে ত্রিশাল থানা পুলিশে সোপদ করা হয় ভূয়া পরীক্ষার্থী মাহবুব হাসানকে।

এসব অভিযোগের বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে ওলামালীগ নেতা আব্দুর রহীম পীর সমকালকে বলেন, আমার ছেলেকে হেফাজত করুন। আল্লাহ আপনাদের ভালো করবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. উজ্জ্ব কুমার প্রধান বলেন, জালিয়াতি কিংবা অনৈকতার অভিযোগ প্রাথমিক ভাবে প্রমাণিত হওয়ায় অধিকতর তদন্তের জন্য সাধারন মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। জব্দকৃত ভুয়া দলিলাদি ও জিনিসপত্র সহ থানা কর্তৃপক্ষের কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়েছে।

ত্রিশাল থানার ওসি মাইন উদ্দিন বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, ভর্তি পরীক্ষা সুন্দর গোছালো ভাবে হয়েছে। অসাদুপায়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে একজন আটক হয়েছে। আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।