স্বজন ডেস্ক : জাতীয় সংসদের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিশেষ অধিবেশন বসছে বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ)। এদিন বেলা ১১টায় অধিবেশন শুরু হবে। এটি একাদশ জাতীয় সংসদের ২২তম অধিবেশন। এর আগে সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে সংসদের কার্যউপদেষ্টা কমিটির বৈঠেক। বৈঠকে অধিবেশনের মেয়াদসহ বিস্তারিত কার্যসূটি চূড়ান্ত হবে।
অধিবেশন শুরুর দিন স্বাভাবিক কার্যক্রম চললেও দ্বিতীয় দিন শুরু হবে বিশেষ অধিবেশন। এদিন (শুক্রবার) বিকেল ৩টায় বসবে সংসদের বৈঠক। এ বৈঠকে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ স্মারক বক্তৃতা দেবেন। বিদায়ী রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের এটিই হয়তো সংসদের শেষ ভাষণ। আগামী ২৩ এপ্রিল তার দুই টার্মের মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে।
রাষ্ট্রপতির ভাষণের পরদিন শনিবার সকালে শুরু হবে সংসদের বৈঠক। ওই বৈঠকে সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ১৪৭ বিধিতে সাধারণ প্রস্তাব তুলবেন। এরপর তিনি ওই প্রস্তাবের ওপর আলোচনা করবেন। পরে দুইদিনব্যাপী সাধারণ প্রস্তাবের ওপর সংসদ সদস্যরা বক্তব্য রাখবেন। এরপর তা গ্রহণ করা হবে।
করোনাকালের ধারাহিকতায় এবারও এমপিদের কোভিড-১৯ টেস্ট করে সংসদ অধিবেশনে যোগ দিতে হবে। এছাড়া সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী, গণমাধ্যম কর্মীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে করোনার নমুনা পরীক্ষা করতে হবে।
এর আগে ২০২০ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশের সংসদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিশেষ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ওই বিশেষ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সময় বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম নিয়ে স্মারক বক্তৃতা দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। ওইদিনই জাতির পিতাকে শ্রদ্ধা জানাতে সংসদে একটি প্রস্তাব এনেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই প্রস্তাব নিয়ে সংসদে প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, বিরোধী দলীয় নেতাসহ সরকারি ও বিরোধী দলীয় ৭৯ সংসদ সদস্য এর ওপর ১৯ ঘণ্টা ৩ মিনিট আলোচনা করেন। পরে তা সর্বসম্মতক্রমে গ্রহণ করা হয়।
শুরুতেই সভাপতিমণ্ডলী মনোনয়নের পর শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হবে। এরপর মন্ত্রীদের প্রশ্নোত্তর। প্রথমদিনে সড়ক পরিবহন ও মহসড়ক বিভাগ, সেতু বিভাগ, রেলপথ, মহিলা ও শিশু এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠিত হবে। তবে, প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপন হতে পারে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ ১৯৭৩ সালের ৭ এপ্রিল আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করেছিল। এই হিসাবে এবার সংসদ সুবর্ণজয়ন্তী পালন করছে। এ উপলক্ষে বিশেষ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বছরব্যাপী আরও কিছু কর্মসূচি পালন করা হবে।