স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের জনগণ তাঁর ভোটাধিকার, মানবাধিকার, অর্থনীতি, নিরাপত্তা, বাক স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ফিরে পাওয়ার আন্দোলনে নেমেছে। বিএনপি এখন রাজনৈতিভাবে দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী দল। আওয়ামী লীগের পরাজয় এখন সুনিশ্চিত।
দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, বিদ্যুতের লোডশেডিং, সর্বগ্রাসী দুর্নীতি, মিথ্যা ও গায়েবী মামলায় গ্রেফতার, সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ দশ দফা দাবীতে ময়মনসিংহে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে রোববার বিকেলে ময়মনসিংহ মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি আয়োজিত পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট মাঠে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শুরুর আগে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে ব্যানার, ফেস্টুন সহকারে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা জনসভায় যোগদান করেন। এ সময় দশ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেয়। সমাবেশকে ঘিরে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী আরো বলেন, বাংলাদেশের চরম দুর্নীতির মাধ্যমে লাখ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দিয়েছে। এটা এখন বিশ্বের নানা দেশে আলোচিত হচ্ছে। গ্যাস ও বিদ্যুতের উচ্চ মূল্য কার পকেটে যাচ্ছে, ব্যাংক লুটপাট করে ব্যাংক খালি করে দিয়েছে। এসব টাকা কার পকেটে যাচ্ছে। সব আওয়ামী সিন্ডিকেটের পকেটে যাচ্ছে।
বিএনপি নেতা বলেন, এ আন্দোলন বিএনপির একার নয়, বাংলাদেশের সকলের এই আন্দোলন। বাংলাদেশের মানুষের এই আন্দোলন এখন আন্তর্জাতিক আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের সমস্যা আন্তর্জাতিকীকরণ হয়ে গেছে। সমস্ত বিশ্ব আজকে বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে আছে। বাংলাদেশের নিরপেক্ষ নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে। এ জন্য এ সরকারকে বিদেশী রাষ্ট্রগুলো, মানবাধিকার সংগঠনগুলো জাতিসংঘ বিশ্ব বিবেক এ দেশকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষন করছে।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল বলেন, পাকিস্তান আমলে শান্তি কমিটি ছিল, এখন শান্তি সমাবেশের নামে শান্তি বাহিনী অস্ত্র নিয়ে মিছিল করে।
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স জেলার বিভিন্ন এলাকায় নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, মামলা ও গ্রেফতারের তীব্র প্রতিবাদ জানান।
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক এ কে এম শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে যুগ্ম আহ্বায়ক আবু ওয়াহাব আকন্দ, মোতাহার হোসেন তালুকদার ও আলমগীর মাহমুদ আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহসাংগঠনিক সম্পাদক ওয়ারেস আলী মামুন ও শরিফুল আলম, ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডা. মাহবুবুর রহমান লিটন, উত্তর জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক এনায়েত উল্লাহ কালাম, পাগলা থানা বিএনপির আহ্বায়ক ডা. মোফাখারুল ইসলাম রানা, সাবেক সংসদ সদস্য শাহ নূরুল কবীর শাহীন, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক অধ্যাপক শেখ আমজাদ আলী, ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক জাকির হোসেন বাবলু প্রমূখ। এসময় নেত্রকোনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডা. আনোয়ারুল হক, সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম হিলালী, বিএনপি অ্যাডভোকেট নূরুল হক, অ্যাডভোকেট এম এ হান্নান খান, এ কে এম মাহবুবুল আলম, শামীম আজাদ, আক্তারুজ্জামান বাচ্চু, হাফেজ আজিজুল হক, যুবদলের দক্ষিণ জেলা সভাপতি রোকনুজ্জামান সরকার রোকন ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট দিদারুল আলম রাজু, মহানগর যুবদলের সভাপতি জোবায়েদ হোসেন শাকিল, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা ছাত্রদলের মাহবুবুর রহমান রানাসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।