স্বজন ডেস্ক : বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, ‘আমরা প্রত্যাবাসনের জন্য একসঙ্গে কাজ করছি, এটা নির্বাচনের আগে হতে পারে বা নির্বাচনের পরেও চলবে। আমরা প্রত্যাবাসনের খুব কাছাকাছি কিন্তু তবুও কিছু প্রচেষ্টা প্রয়োজন এবং আমরা এটির জন্য কাজ করছি। চায়না এখানে মধ্যস্ততাকারী এবং সাহায্যকারী আমরা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ এবং মিয়ানমারকে সাহায্য করছি।’
শুক্রবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চীনা দূতাবাসের অর্থায়নে চিকিৎসা সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন। এর আগে, রাষ্ট্রদূত রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিকে বিভিন্ন সামগ্রী হস্তান্তর করেন
বিশ্ব সম্প্রদায়কে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘মিয়ানমার ঘুরে এসে কিছু রোহিঙ্গা বলেছে, প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমারে উপযুক্ত পরিবেশ নেই। কিন্তু তারা তো সারা জীবন বাংলাদেশে থাকতে পারবে না। তারা যাতে ফিরে যেতে পারে সে পথ বের করতে হবে। পাইলট প্রকল্পের অধীনে কবে নাগাদ প্রত্যাবাসন শুরু হতে পারে জানতে চাইলে ওয়েন বলেন, আমরা একসঙ্গে কাজ করছি পরিস্থিতি ভালো হলে যেন চলে যেতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ এবং মিয়ানমারের ভালো বন্ধু। তারা আমাদেরকে বিশ্বাস করে। তাদের অনুরোধে চায়না সাহায্যকারী হিসেবে কাজ করছে। আমরা তাদেরকে একত্রিত করেছি কথা বলার জন্যে। একটা সমাধান বের করার জন্যে। যাতে করে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ফিরে যেতে পারে। আমরা খুশি যে এই কাজে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। এখানে মিয়ানমারের কর্মকর্তারা এসেছে এবং কিছু রোহিঙ্গা রাখাইনে গিয়ে গো অ্যান্ড সি ভিজিট করেছে।’
রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি এখানে একটা ঐকমত্য হয়েছে যাতে করে পাইলট প্রকল্পের মাধ্যমে কিছু রোহিঙ্গা ফিরে যেতে পারে। আমাদের উদ্দেশ্য হলো যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কিছু রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠানো।’
তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘শুধু বাংলাদেশ এবং মিয়ানমার না, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর উচিত এখানে এক হয়ে কাজ করা। কিছু মানুষ বলছে মিয়ানমারের পরিস্থিতি প্রত্যাবাসনের জন্য উপযুক্ত নয়। কিন্তু রোহিঙ্গারা সারা জীবন বাংলাদেশে বসবাস করতে পারে না। আমাদের একটা সমাধান বের করা দরকার যাতে তারা ফিরে যেতে পারে। এখানে সকলের প্রচেষ্টা দরকার।’
চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘সকলের ঐকমত্যে একটা সমাধান বের হয়। আশা করি তারা এই সমস্যার সমাধানের জন্য এই প্রত্যাবাসনের পক্ষে আমাদের সঙ্গে একসঙ্গে দাঁড়াবে।’