স্বজন ডেস্ক : আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিভিন্ন অপরাধের বিচার করার জন্য মাঠে থাকবেন ৬৫৩ জন বিচারিক হাকিম। এরই মধ্যে সাংবিধানিক এ সংস্থাটি আইন মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে রিকুইজিশন দিয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) আইন শাখার যুগ্মসচিব মো. মাহবুবার রহমান সরকার।
শনিবার (২৫ নভেম্বর) সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। মাহবুবার রহমান সরকার বলেন, বিচারিক হাকিম থাকবে ৬৫৩ জন। আমরা রিকুইজিশন দিয়েছি। উনারা কাজ করবেন পাঁচ দিন। ভোটের আগে দুদিন, ভোটের দিন এবং ভোটের পরে দুদিন কাজ করবেন।
তিনি বলেন, জুডিসিয়াল অফিসার নিয়োগ হয়েছে নির্বাচনী তদন্ত কমিটিতে। গত সপ্তাহে আইন মন্ত্রণালয় সুপ্রিম কোর্টের অনুমোদন নিয়ে উনারা নিয়োগ প্রাপ্ত হয়েছেন। আচরণবিধি লঙ্ঘন হলে তারা তদন্ত করতে পারবেন। তারা শুধু রিপোর্ট দিতে পারবেন। স্বউদ্যোগে তদন্ত করতে পারবেন। কমিশন যদি বলে একটা অভিযোগ পাওয়া গেছে, আপনারা রিপোর্ট দেবেন। তিন দিনের মধ্যে রিপোর্ট দেবেন। কমিশন তা পর্যালোচনা করে প্রার্থী, ব্যক্তি বা দলকে দণ্ড দিতে পারেন। এ কমিটির ফলে আচরণবিধি লঙ্ঘন কমবে।
তিনি আরও বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কমিটি ছিল ১২২টা। এবার ৩০০ আসনে ৩০০টি কমিটি থাকবে। আগে বিচারিক কর্মকর্তারা যারা আসতেন তারা বিচারিক অফিসও করতেন। এবার কমিশনের অনুরোধে সুপ্রিম কোর্ট তাদের ফুলটাইমের জন্য নিয়োগ দিয়েছেন। সবসময় এ কাজই করবেন তারা। আশা করি, বিধি লঙ্ঘন হলে উনারা দৃশ্যমান কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারবেন। তারা অলরেডি মাঠে আছেন। রোববার (২৬ নভেম্বর) থেকে পুরোদমে কাজ করবেন।
ইসির তফসিল অনুযায়ী, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোট গ্রহণ করা হবে ৭ জানুয়ারি।