বাংলাদেশে একটি প্রবাদ আছে, মরার উপর খরার ঘা, ঠিক একই অবস্থা পরিবহন শ্রমিকদের উপর বিরাজ করছে, বর্তমানে পরিবহন শ্রমিকদের দুঃখ কষ্টের জীবন যেন আর কোন ভাবেই শেষ হচ্ছে না, স্বাধীন দেশের নাগরিক হয়েও কষ্টের শেষ সীমানা নেই। করোনা ভাইরাস এর সময় কষ্ট, হরতাল অবরোধের সময় কষ্ট, যানজটের সময় কষ্ট, সংসারে অভাব অনটনের কষ্ট, আরো কত প্রকার যে কষ্ট, পরিবহন শ্রমিকরা কোন ভাবেই একটু দাঁড়াতে পারছেনা।
আজ দু’বছর যাবৎ লক্ষ লক্ষ লাইসেন্স ডেলিভারি দেওয়া একেবারে বন্ধ, শুধু স্লিপ নিয়ে গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছে। আর পুলিশ সার্জেন্ট সাহেব এই নেই, ঔ নেই, দোষী সাব্যস্ত করে মামলা দেওয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। অনেক ড্রাইভার ভাইয়েরা এই লাইসেন্স এর জন্য চাকরি পাচ্ছে না, অনেকে বিদেশ যেতে পাচ্ছে না। কিছু দিন পরে পরে কাজ কর্ম বন্ধ করে বিআরটিএ অফিসে যেতে হচ্ছে স্লিপের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য।
ইতিমধ্যে মাননীয় যোগাযোগ ও পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাহেব বলেছেন কিছু দিনের মধ্যেই লাইসেন্স দেওয়া হবে। কিন্তু অতি দুঃখের বিষয় এ পর্যন্ত অসহায় পরিবহন শ্রমিকদের ড্রইভিং লাইসেন্স পাচ্ছে না। এদিকে পরিবহন শ্রমিক নেতাদের মধ্যে এ বিষয়ে কোন প্রকার আন্তরিকতা মনোভাব নেই, দুই একজন কিছু কথা বলে দায় শেষ করছে। পরিবহন শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার সুকৌশলে বঞ্চিত করা হচ্ছে।
পরিবহন শ্রমিক এমপি হতে চায় না, বড় নেতা হতে চায় না, বড় শিল্পপতি হতে চায় না, শুধু সম্মানের সহিত দু মুঠো পেট ভরে ভাত খেতে চায়। তাই আমাদে সর্বশেষ আশ্রয় স্থল হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর সুযোগ্য সন্তান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহোদয় এর কাছে পরিবহন শ্রমিকদের বহু বছরের দাবী নিয়োগপত্র প্রদান সহ বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসার জন্য অনুরোধ করছি এবং পরিবহন শ্রমিক ভাইদের কে করোনা টিকা নেওয়ার জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ রইল।
লেখক
ইখতিয়ার আহমেদ রনি
সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক
ময়মনসিংহ জেলা মটরযান কর্মচারী ইউনিয়ন।