বর্তমানে পরিবহন শ্রমিকদের নতুন পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে, লাইসেন্স নবায়ন করতে, লাইসেন্স হালকা থেকে মিডিয়াম করতে, লাইসেন্স মিডিয়াম থেকে হেভি করতে এরকম আবেদন কারি ড্রাইভার ভাইদের কে সরকারি হাসপাতাল থেকে ৯৫০ টাকা ফ্রি জমা দিয়ে ডোপ টেস্ট করতে হয়। এক কথায় কয়েক বছর পর পর এই ডুপ টেস্ট করতে হয়। কারন এই ডুপ টেস্টের মাধ্যমে জানা যায় ড্রাইভার ভাইয়েরা মাদক সেবন করেন কি না, আমি এই ডোপ টেস্ট সিদ্ধান্তকে স্বাগতম জানাই কেননা অদুর ভবিষ্যতে পরিবহন শ্রমিকরা গলা ফাটিয়ে চিৎকার করে বলতে পারবে আমাদের পরিবহন সেক্টর মাদক মুক্ত। সরকার দুর্নীতি ও মাদক মুক্ত সমাজ গড়তে আপ্রান চেষ্টা করছে, এটা একেবারে সত্যি কথা আমিও চাই দুর্নীতি ও মাদক মুক্ত সমাজ গড়ে উঠুক। আমার সোনার বাংলাদেশ, মাদকের ভয়াল নেশায় আসক্ত ব্যক্তিদের কারনে অনেক পরিবার ধ্বংস হয়ে গেছে হারিয়ে গেছে অনেক আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। আমি দেখেছি অনেক গরিব মধ্যবিত্ত অথবা ধনী বাবা মায়ের চোখের পানি ঝরতে এবং বলতে শুনেছি আমার সোনা মনিটা যেন কি হয়ে গেছে। আমি দেখেছি মাদকাসক্ত স্বামীর সংসার ত্যাগ করে চলে গেছে অনেক স্ত্রী, তবে হ্যাঁ আমার জানা মতে পরিবহন শ্রমিকদের মধ্যে এখনো এমন শ্রমিক আছেন যাহারা মাদক তো দুরের কথা সিগারেট পর্যন্ত খায় না ইতি মধ্যে ড্রপ টেস্টের সিগারেট পর্যন্ত খায় না ইতি মধ্যে ডুপ টেস্টের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে লক্ষ লক্ষ ড্রাইভার মাদক সেবনকারী নয়, এখন আমার প্রশ্ন হলো পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য ডুপ টেস্ট দিতে হয় আর অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য ডুপ টেস্ট দিতে হয় না এটা কেমন কথা। অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে তো আর বাই সাইকেল চালাবে না, মাদক সেবন কারী কি শুধু পরিবহন সেক্টরে আছে না কি অন্য কোথাও মাদক সেবন কারি আছে ? মাজে মধ্যে বিভিন্ন পত্রিকায় অথবা টিভি চ্যানেলের সংবাদ প্রচারিত হয় শত শত কোটি টাকার দামি দামি মাদক আটক করা হয়েছে এত দামি মাদক তো ড্রাইভার ভাইয়েরা খেতে পারেন না তাহলে এই দামি মাদক খায় কে ? যদি অন্য কোথাও মাদক সেবন কারি থেকে থাকে তবে সরকারকে আমি অনুরোধ করছি প্রত্যেকটা সেক্টরে সকল মানুষের সরকারী কাজে ব্যবহৃত অন্যান্য কাগজের সাথে ডুপ টেস্ট প্রদান বাধ্যতামূলক করা হোক এবং বিভিন্ন ধরনের লাইসেন্স নবায়নের সময় ডুপ টেস্ট প্রদান করা হোক। এতে সরকারে যেমন রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে ঠিক তেমনি মাদক সেবনকারী কমে আসবে বলে আমি আশা করি। উল্লেখ ইতি মধ্যে আবারও ড্রাইভিং লাইসেন্স সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে এতে গাড়ীর চালকদের নানা ধরনের সমস্যা সম্মুখীন হতে হচ্ছে অনেক ক্ষেত্রে সার্জেন্ট সাহেব বি আর টি এর স্লিপ দেখলেই নানান অজুহাত তুলে ধরেন এবং টাকা ইনকাম করার চেষ্টা করেন। সর্বশেষ বাংলাদেশ মাদকমুক্ত ও দুর্নীতি মুক্ত হোক এই কামনা করছি আল্লাহ হাফেজ ।।।
লেখক
ইখতিয়ার আহমেদ রনি
সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক
ময়মনসিংহ জেলা মটরযান কর্মচারী ইউনিয়ন।