স্টাফ রিপোর্টার : শেরপুরের নকলায় তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠেয় আগামী ২৮ নভেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ২ নভেম্বর মঙ্গলবার মনোনয়ন দাখিলের শেষদিনে ৯টি ইউনিয়ন থেকে চেয়ারম্যান পদে মোট ৪২ জন প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করেছেন। এদের মধ্যে নৌকা প্রতীকের ৯ জন, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ১৭ জন এবং বিএনপি ও স্বতন্ত্র থেকে প্রার্থী হয়েছেন ১৬ জন। এছাড়া সংরক্ষিত সদস্য পদে ৮৯ জন ও সাধারণ সদস্য পদে মনোনয়ন দাখিল করেছেন ২৯৩ জন।
আওয়ামী লীগে বিদ্রোহী প্রার্থীরা হলেন গণপদ্দী ইউনিয়নে আমির হামজা (উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য), নকলা ইউনিয়নে আবু বকর ছিদ্দিক ফারুক (সমর্থক) ও আব্দুল হালিম (সমর্থক), উরফা ইউনিয়নে মুহাম্মদ নুরে আলম (উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক), গৌড়দ্বার ইউনিয়নে খন্দকার রবিউল করিম (সমর্থক), হামিদুল ইসলাম (সমর্থক) ও মনির খান (সমর্থক), বানেশ্বর্দী ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান মাজহারুল আনোয়ার (উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক) ও আহাদুজ্জামান (সমর্থক), পাঠাকাটা ইউনিয়নে মোজাম্মেল হক ফকির (ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য), টালকী ইউনিয়নে বেলায়েত হোসেন আকন্দ (ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক), এসএম খোরশেদ আলম (ইউনিয়ন শ্রমিকলীগের সভাপতি), সায়েদুল হক (সমর্থক) ও মাজহারুল ইসলাম (সমর্থক), চর অষ্টধর ইউনিয়নে ইকবাল সরকার স্বপন (ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি) এবং চন্দ্রকোনা ইউনিয়নে কামরুজামান (সমর্থক) ও মোখলেছুর রহমান (ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি)।
বিএনপি ও স্বতন্ত্র থেকে মনোনয়ন দাখিলকারীরা হলেন গণপদ্দী ইউনিয়নে হাবিব আলী আকন্দ ও কামাল মিয়া, নকলা ইউনিয়নে মুরাদুজ্জামান, গৌড়দ্বার ইউনিয়নে মোবারক হোসেন ও খন্দকার ইলিয়াস হোসেন, বানেশ্বর্দী ইউনিয়নে শরীয়ত উল্লাহ, সহিদুল ইসলাম, হানিফ উদ্দিন ও খন্দকার জাকির হোসেন, পাঠাকাটা ইউনিয়নে মোবারক হোসেন, আব্দুল হক, মোবারক হোসেন ও খাইরুল আলম আলতাফ, টালকী ইউনিয়নে জহিরুল ইসলাম ও মোজাফফর মহিউদ্দিন, চর অষ্টধর ইউনিয়নে মো.শাহজাহান।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ জানান, আওয়ামী লীগ থেকে অনেকে মনের ক্ষোভ, যন্ত্রণা থেকে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে মনোনয়ন দাখিল করেছেন। আমরা উপজেলা আওয়ামীলীগেন পক্ষ থেকে তাদেরকে ভূল পথ থেকে সরে আসার জন্য আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। কিছু জায়গায় সফলও হয়েছি। আমরা কোন নেতা-কর্মীকে হারাতে চাইনা। আগামী ১১ নভেম্বর মনোনয় প্রত্যাহারের শেষ দিন। আমি মনে করি দলের স্বার্থে, নৌকার স্বার্থে, দেশের স্বার্থে বিদ্রোহীরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী হয়ে অবশ্যই তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিবেন।
বিদ্রোহী প্রার্থী বানেশ্বর্দী ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামীলীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মাজহারুল আনোয়ার মহব্বত বলেন, ইউনিয়ন বাসির আশা-আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটাতে আমি নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিল করেছি। এজন্য দল যদি আমাকে দলীয় পদ-পদবী থেকে সরিয়ে দেয় কিংবা বহিস্কার করে তারপরেও আমি আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হয়ে জনগণকে সাথে নিয়ে আজীবন দলের পক্ষে কাজ করে যাব।