গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি :
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে রিটার্ণিং কর্মকর্তা উপজেলা নির্বাচন অফিসার সজল চন্দ্র সরকারকে মারধরের ঘটনায় গ্রেফতারকৃত নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান এম.এ কাইয়ুমকে জেলহাজতে প্রেরণ করেছেন বিজ্ঞ বিচারক। বিষয়টি নিম্চিত করেন ময়মনসিংহ কোর্টের ইন্সপেক্টর পূসন কান্তি দাস। তিনি বলেন, মঙ্গলবারও (২৮ ডিসেম্বর/২০২১) এ সংক্রান্ত কোনো শুনানী হয়নি।
গৌরীপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ইউনিয়ন পরিষদ ‘নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা কক্ষে হামলা-ভাংচুর, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও নির্বাচনে নিয়োজিত রিটার্ণিং কর্মকর্তাকে মারধর ও জোরপূর্বক স্বাক্ষর গ্রহণের অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করে সোমবার বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মামলা ও নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, গত রোববার (২৬ ডিসেম্বর/২১) গৌরীপুর উপজেলার দশটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোটগ্রহণ শেষে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সজল চন্দ্র সরকার ফলাফল ঘোষণা কক্ষে বসে ভোটকেন্দ্রের তথ্য সংগ্রহ করে ফলাফল ঘোষণা করছিলেন। এ সময় ডৌহাখলা ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী এমএ কাইয়ূম ও তার সহযোগীরা ফলাফল ঘোষণা কক্ষে এসে নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে তাঁতকুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের ফলাফলের কপি চায়। কিন্ত নির্বাচন কর্মকর্তা তাদের জানান ওই কেন্দ্রের ফলাফলের কপি এখনো আসেনি। পরে কাইয়ূম ও তার সহযোগীর উত্তোজিত হয়ে নির্বাচন কর্মকর্তাকে মারধর ও ফলাফল ঘোষণার কক্ষে হামলা ও ভাঙচুর করে। ওই দিন রাত ১১টায় ডৌহাখলা ইউনিয়নের ভোট গণনা শেষে এম.এ কাইয়ূমকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
এদিকে হামলা ও ভাঙচুর ও নির্বাচন কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনার পরপরই ওইদিন রাতে কাইয়ুমকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। পরে সোমবার নির্বাচন কর্মকর্তা সজল চন্দ্র সরকার বাদী হয়ে সোমবার গৌরীপুর থানায় মামলা দায়ের করে। নির্বাচন কর্মকর্তা সজল চন্দ্র সরকার বলেন, হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনার পরপরই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আইনের আশ্রয় নিয়েছি। এই মুর্হূর্তে এরচেয়ে বেশি কিছু বলতে পারছি না।