ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) সংবাদদাতা :
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মাঝে সংঘর্সে ১২জন আহত হয়েছে। আহতদের স্থানীয় চিকিৎসা কেন্দ্র ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ৯নং উচাখিলা ইউনিয়নের মরিচারচর গ্রামে নৌকার প্রার্থী শফিকুল ইসলামের কর্মী সমর্থকদের সাথে স্বতন্ত্র প্রার্থী নজরুল ইসলামের কর্মী সমর্থকদের মাঝে এ সংঘর্স হয়।
সরেজমিন ঘটনাস্থল গেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী নজরুল ইসলাম জানান, ওই দিন সন্ধ্যায় আমার বাড়িতে এক কর্মী সমাবেশ চলছিল। এসময় সরকার দলীয় প্রার্থীর সমর্থকরা সশস্ত্র অবস্থায় আমার কর্মী সমাবেশ ও বাড়ি ঘরে হামলা চালায়। এসময় হামলাকারীরা আমার পাশের বাড়ির খোরশেদ মেম্বারের ঘরে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে দরজা জানালার ব্যপক ক্ষতি সাধন করে। এতে মেম্বারের ভাতিজার স্ত্রী সামিলা (৩৫), রাহাত (১৮) ও স্ত্রী জহুরা খাতুন(৮০) ইট পাটকেলে আহত হয়।
আওয়ামীলীগ মনোনীত দলীয় নৌকার প্রার্থী শফিকুল ইসলাম জানান, তিনি কর্মী সমর্থকদের নিয়ে নির্বাচনী এলাকা মরিচারচর গ্রামে যাচ্ছিলেন। কর্মী সমর্থকরা স্বতন্ত্র প্রার্থী নজরুল ইসলামের বাড়ি সামনে যেতেই তার কর্মীরা বাঁধা প্রদান করে। এতে উভয়পক্ষের মাঝে সংঘর্সের সূত্রপাত হয়। সংঘর্সে নৌকা সমর্থক উচাখিলা ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি মঞ্জুরুল হক (৭০), রনি (২৬), রাজিব (২৪), মকবুল হোসেন (৪৫), বকতার (৩৫), রাকিব (২৫), মাহফুল (৩৫), হাবিল (২৬) ও আব্দুল্লাহ (২৮) আহত হয়। আহতদের মাঝে রাজিবের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকীদের স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়।
সফিকুল ইসলাম আরো জানান, নজরুল ইসলাম পরিকল্পিত ভাবে তার কর্মীদের উপর সশস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এবং তার কর্মীদের বিরুদ্ধে বাড়ি ঘরে হামলার যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
এব্যাপারে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল কাদের মিয়া জানান, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংঘর্স সৃষ্টির পর আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রনে রাখতে উচাখিলা বাজার ও মরিচারচর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এবিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি।