তারাকান্দা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার কাকনী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি সংঘর্ষ ও মটর সাইকেল ভাংচুরের ঘটনা ঘঠেছে । মঙ্গলবার উপজেলার গোয়াতলা বাজার এ ঘটনা ঘটে।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, গত রবিবার তারাকান্দা উপজেলা ছাত্রলীগ এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কাকনী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করে। এতে কাকনীর ইউপি চেয়ারম্যানসহ কয়েকজন প্রতিবাদ করে এ কমিটি বাতিল করতে বলে।
এনিয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শিবু চন্দ্র দাসের সঙ্গে গত সোমবার তারাকান্দা বাজারে কাকনী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক তালুকদারের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয় এবং শিবু দাস কে লাঞ্ছিত করে। পরে ওই দিন বিকেলে চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক তারাকান্দা বাজারে এলে উপজেলা ছাত্রলীগ তাকে লাঞ্ছিত করে। এর জের ধরে চেয়ারম্যান পক্ষের লোকজন সদ্য ঘোষিত কাকনী ইউপি ছাত্রলীগ কমিটির সভাপতি শরীফ সরকারের বাড়িতে রাতে হামলা চালায় এবং গোয়াতলা বাজারে শরীফের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও তাঁর চাচা সাবেক চেয়ারম্যান মশিউর রহমান রিপনের বাড়িতে হামলা করে। এ ঘটনার জের ধরে সাবেক চেয়ারম্যানের কর্মী রাসেল ফকির মঙ্গলবার গোয়াতলা বাজারে গেলে বর্তমান চেয়ারম্যান লোকজন তার উপর হামলা করে। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ নিয়ন্ত্রণ আনে।
মঙ্গলবার বিকেলে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি শরিফ সরকার উপজেলা ছাত্রলীগকে এ ঘটনা অবগত করলে ছাত্রলীগ, যুবলীগের ১০/১৫ কর্মী সমর্থকরা গোয়াতলা বাজারে গিয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান খালেক তালুকদারের অফিস ভাংচুর করে। এদিকে খালেক তালুকদারের লোকজন পাল্টা দাওয়া করে মশিউর রহমান রিপনের বাড়িতে গিয়ে হামলা করে বলেও জানা যায়। পরে তারাকান্দা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে বলে এলাকাবাসী জানায়।
কাকনী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মশিউর রহমান রিপন জানান, কাকনীর ছাত্রলীগ কমিটিতে আমার বাতিজা শরিফকে সভাপতি করায় আব্দুল খালেক চেয়ারম্যানের লোকজন আমাদের বাড়িয়ে ঘরে এসে হামলা চালায়।
কাকনী ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান খালেক তালুকদার বলেন, কাকনী ইউনিয়ন ছাত্রলীগ কমিটিতে বিতর্কত লোক রাখায় আমরা এর প্রতিবাদ করায় আমাদের ওপর তারা হামলা করে।
তারাকান্দা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাইদুর রহমান বলেন, দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি।