বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (ময়মনসিংহ) : ১৮ই আগস্ট বুধবার বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালিত হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপনের শুরুতেই বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করেন ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. এ.কে.এম জাকির হোসেন এবং রেজিস্ট্রার মোঃ ছাইফুল ইসলাম।
পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ব্রহ্মপুত্র নদীতে মাছের পোনা অবমুক্ত করণ, উপস্থিত সকলের মাঝে মাস্ক বিতরণ, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি চত্বরে ১৯৭৩ সনের ১৩ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধুর উপহার কৃষিবিদদের প্রথম শ্রেণীর মর্যাদা প্রদানের ঘোষণা মঞ্চের স্মৃতিফলক “বঙ্গবন্ধুর অবদান কৃষিবিদ ক্লাস ওয়াান” উন্মোচন এবং বৃক্ষরোপণ ও কৃষকদের মাঝে বৃক্ষের চারা বিতরণসহ বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়।
ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা এবং জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. এ.কে.এম. জাকির হোসেন এর সভাপতিত্বে সহযোগী ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মোঃ আজহারুল ইসলামের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা দিবসের এই দিনে পরম শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা এবং তার পরিবারবর্গসহ ওই সকলকে যারা ১৫ই আগষ্ট শহীদ হয়েছেন। দেশের কৃষি ক্ষেত্রকে আধুনিকায়ন করতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সনের ১৩ই ফেব্রুয়ারি উপহারসরুপ কৃষিবিদদের প্রথম শ্রেণীর সম্মাননা প্রদানকরে ঘোষণা করেন “আমি তোদের সম্মান দিলাম তোরা আমার মান রাখিস”। আজকে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার পিছনে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান অপরিহার্য। আজ কৃষিক্ষেত্রে বৈষ্যয়িক উন্নয়ন ঘটাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সবসময় সচেষ্ট। আরোও শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি বাকৃবির অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলেই আজকের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। আজকের এই দিনে আমাদের অঙ্গীকার করতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন ধরনের কোন সন্ত্রাসবাদ-জঙ্গিবাদ, মাদকের স্থান হবে না। এ বিষয়ে সকলকে সচেতন থাকতে হবে। আজ দেশ-বিদেশে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে এবং জানান দিতে হবে বঙ্গবন্ধুর দেয়া উপহারকে আমরা সসম্মানে আজও ধরে রেখেছি।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ মকবুল হোসেন, প্যাথলজি বিভাগের প্রফেসর ড. এ এস মাহফুজুল বারি, প্রোক্টর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মহির উদ্দীন, পরিকল্পনা ও উন্নয়নের পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ হারুন-অর-রশিদ, বাউরেসের পরিচালক প্রফেসর ড. আবু হাদী নূর আলী খান, কৃষিতত্ব বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ আবদুস সালাম, পোল্ট্রি বিজ্ঞানের প্রফেসর ড. সুবাস চন্দ্র দাস, ট্রেজারার মোঃ রাকিব উদ্দিন, প্রধান প্রকৌশলী মোঃ শাহীন ইসলাম খান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোঃ ইউছুব আলী মন্ডল, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, অফিসার্স পরিষদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, কর্মচারী পরিষদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, কারিগরি সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং চতুর্থ শ্রেণীর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ বিভিন্ন শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, বাকৃবির শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও কর্মীবৃন্দ।