গফরগাঁও(ময়মনসিংহ) সংবাদদাতা : বিশ্ব ফুটবলের দুই পরাশক্তি, বাংলাদেশে খুবই জনপ্রিয় ফুটবল দল ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা গত বছর ১৪ বছর পর বৈশ্বিক ফুটবলের বড় কোন আর্ন্তজার্তিক টুর্নামেন্টে ও ফাইনালে মুখোমুখি।
আর ব্রাজিল বনাম আর্জেন্টিনার ফুটবল ম্যাচ মানেই বাংলাদেশে মাতামাতি। এই ব্লক ব্লাষ্টার ফুটবল ম্যাচকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের অন্যান্য এলাকার ফুটবলের প্রেমীদের মত গফরগাঁও উপজেলার ফুটবল প্রেমীরা করোনাকালের ভয়াবহ লকডাউনের মাঝেও আলোচনা, সমালোচনা, তর্ক-বিতর্কে এবং বিভিন্ন উপায়ে প্রিয় দলে প্রতি সর্মথন প্রকাশে ব্যস্ত । কিশোর-কিশারী থেকে শুরু করে বয়স্করা পর্যন্ত কোপা আমেরিকা টুর্নামেন্টে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার ব্লক-ব্লাষ্টার ফাইনাল ম্যাচকে কেন্দ্র করে খুনসুঁটিতে জড়িয়ে পড়েছে ।
এবারের ম্যাচকে কেন্দ্র করে এই দুইদলের সর্মথকদের খুঁনসুটির নতুন প্লাটফরম স্যোশাল মিডিয়া, বিশেষ করে ফেসবুক। উপজেলার ব্রাজিল ও অর্জেন্টিনার সর্মথকরা এই ফাইনাল খেলা নিয়ে উত্তপ্ত আলোচনার পাশাপাশি প্রিয় দলের জার্সি পরে সেলফি তুলে কিংবা ছবি তোলে ফেসবুকে পোষ্ট দিচ্ছে।
গফরগাঁও পৌর শহরের শহীদ বেলাল প্লাজা, মধ্যবাজার কলেজ রোড এলাকার বেশ কয়েকটি খেলাধুলা সরঞ্জাম বিক্রির দোকানীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, কোপা আমেরিকা কাপের কোয়ার্টার ফাইনালের পর থেকেই ব্রাজিল -আর্জেন্টিনার জার্সি বিক্রি শুরু হয়। দুই দলই ফাইনালে উত্তীর্ণ হওয়ার পর দুই দলের সর্মথকদের মধ্যে এক প্রকার উন্মাদনার সৃষ্টি হয়েছে। গত দুই/তিন দিনে তিন চারটি দোকানে প্রায় ৪/৫ হাজার জার্সি বিক্রি হয়েছে। সবগুলো দোকানের ফেইসবুক গ্রুপ পেইজ আছে।
করোনাকালীন কঠোর লকডাউনের মধ্যে এসব দোকানের ফেসবুক পেইজ মাধ্যমেই অনেক সর্মথক ঘরে বসেই অনলাইন অর্ডারের মাধ্যমে জার্সি ক্রয় করছেন। আবার অনেক দোকানী প্রশাসনের কঠোর নজরদারীর মধ্যেও চোর-পুলিশ কেলার মত সারাদিনের কিছু কিছু সময়ে দোকানের সাটারের একটি অংম খোলা রাখছেন। দোকানের সামান্য অংশ খোলা পাওয়া মাত্র কিশোর-কিশোরী থেকে শুরু বয়স্করা দোকানে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে জার্সি ক্রয় করার জন্য।
দশম শ্রেণীর ছাত্রী সাদিয়া আফরিন বলেন, প্রিয় দলে জার্সি পড়ে খেলা দেখব, এফবি তে পোষ্ট দিব, তাই জার্সি কিনেছি।
শহীদ বেলাল প্লাজা এলাকার ফরহাদ খেলাঘরের মালিক নূরুল আমিন জানান, গত তিন দিনে অনলাইন অর্ডার ও দোকান থেকে প্রায় ১২’শ জার্সি বিক্রি করেছে ক্রেতাদের মধ্যে অধিকাংশ কলেজের ছাত্র-ছাত্রী।