বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে আলোচনা শেষে ধানমন্ডিতে বেক্সিমকো অফিসে জালাল ইউনুস বলেছেন, ‘‘দক্ষিণ আফ্রিকা সফর নিয়ে আজ সাকিবের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাকে কল করেছিলাম। জানতে চেয়েছি, তোমার পরিকল্পনা বলো।’ সাকিব বলেছে, ‘আমি এখনো মনে করি, মানসিক এবং শারীরিকভাবে আনফিট। এজন্য দক্ষিণ আফ্রিকা সফর স্কিপ করতে চাচ্ছি।’ সাকিবের নিজের স্বার্থের কথা চিন্তা করে আমরা সিদ্ধান্ত দিয়েছি যে, যেহেতু সে শারীরিক ও মানসিকভাবে আনফিট বলছে… তো তাকে বিশ্রাম দেওয়া দরকার। এজন্য আমরা তাকে আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত সব ধরনের ক্রিকেট থেকে বিশ্রাম দেওয়ার জন্য সম্মতি দিয়েছি। সে ওই মাসের ৩০ তারিখ পর্যন্ত সর ফরম্যাটের ক্রিকেট থেকে পুরোপুরি বিশ্রামে থাকবে।’
রোববার (৬ মার্চ) রাতে দুবাইয়ের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ার আগে সাকিব বলেন, ‘মানসিক ও শারীরিক যে অবস্থায় আছি আমার কাছে মনে হয় না আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা খুব একটা সম্ভব। এই কারণে আমার মনে হয়, যদি আমি একটা বিরতি পাই, আমি যদি ওই আগ্রহটা ফিরে পাই তাহলে আমার খেলাটা সহজ হবে।’
১২ মার্চ ৩ ওয়ানডে ও ২ টেস্ট খেলতে দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্দেশে উড়াল দেবে বাংলাদেশ দল। সাকিবকে দুই ফরম্যাটের দলে রেখে স্কোয়াড ঘোষণা করেছিল বিসিবি। দুবাই যাওয়ার আগে টেস্ট নয়তো ওয়ানডে খেলা থেকে বিশ্রাম চেয়েছিলেন সাকিব। কিন্তু দুবাইয়ে গিয়ে সাকিব জানান, দক্ষিণ আফ্রিকায় যেতেই চাইছেন না তিনি।
জালাল ইউনুস বলেছেন, ‘আজ সে আমাদের জানিয়েছে এই পুরো সিরিজটাই খেলতে চায় না। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ এমনিতেই ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত। যেহেতু সে বিশ্রাম চেয়েছে… এপ্রিলের ৩০ তারিখ পর্যন্ত বিশ্রাম দিয়েছি। সে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার, অলরাউন্ডার। আমরা মনে করছি তার সার্ভিসের দরকার আছে আমাদের। সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আছে। যেহেতু সে পুরোপুরি বিশ্রামের কথা বারবার বলেছে, ওই দিকটা চিন্তা করে দিয়েছি। কি খেলবে না খেলবে, সেটা আমরা চিন্তা করিনি।’