স্টাফ রিপোর্টার : ভালুকার ভরাডোবায় সাড়ে ৪ বছরের শিশু ধর্ষণ মামলার একমাত্র আসামী মোঃ সেলিম মিয়াকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১৪।
গতকাল ১৮ অক্টোবর রবিবার দুপুরে র্যাব-১৪ ময়মনসিংহের অধিনায়ক এফতেখার উদ্দিন এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, গত ১১/১০/২০২০ খ্রিঃ তারিখ ১২.০০ ঘটিকার সময় ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা থানাধীন ভরাডোবা এলাকার মুদি দোকানের ব্যবসায়ী মৃত তাহের মুন্সির পুত্র মোঃ সেলিম মিয়া (৪৫) প্রতিবেশী রিক্সাচালক মোঃ শফিকুল ইসলাম এর সাড়ে ৪ বৎসরের শিশুকে মজা দেওয়ার কথা বলে মাটির দেওয়াল বিশিষ্ট চৌচলা টিনের ঘরের ভিতর নিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
ধর্ষণ জনিত ব্যথার কারণে পরদিন অর্থাৎ গত ১২/১০/২০২০খ্রিঃ তারিখ শিশুটি তার মাকে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানায়।
পরবর্তীতে শিশুর পিতা শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
অতঃপর ভিকটিমের পিতা রিক্সাচালক মোঃ শফিকুল ইসলাম গত ১৩/১০/২০২০খ্রিঃ তারিখ ধর্ষক মোঃ সেলিম মিয়ার বিরুদ্ধে ভালুকা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
যার মামলা নং-১৬ তারিখ ১৩ অক্টোবর ২০২০খ্রিঃ ধারা-২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী-২০০৩) এর ৯(১)।
ঘটনাটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয় হিসেবে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বর্ণিত আসামীকে আইনের আওতায় আনার জন্য র্যাব-১৪ এর একটি আভিযানিক দল ঘটনার বিষয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করেন এবং আসামীকে গ্রেফতারের নিমিত্তে অভিযান পরিচালনা করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১৪, ব্যাটালিয়ন সদর এর একটি আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আসামীর অবস্থান নির্ণয় পূর্বক গত ১৭ অক্টোবর ২০২০খ্রিঃ তারিখ রাত ২২.১৫ ঘটিকায় গফরগাঁও থানাধীন গরুর হাট বাজার এলাকা হতে উক্ত ধর্ষণ মামলার একমাত্র প্রধান আসামী মোঃ সেলিম মিয়াকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বর্ণিত ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততার কথা স¦ীকার করেন। গ্রেফতারকৃত আসামীকে ভালুকা থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
উল্লেখ্য “বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই স্লোগান নিয়ে র্যাব যুব সমাজ তথা বাংলাদেশ’কে মাদকের ভয়াল থাবা, খুন, ধর্ষণ, সন্ত্রাস, জঙ্গী, ছিনতাই, ডাকাতি, জুয়া, অপহরণসহ বিভিন্ন ধরণের অবৈধ কর্মকান্ড থেকে রক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই দেশব্যাপী আপোষহীন অবস্থানে থেকে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।