ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি :
অগ্নি নির্বাপণ ও উদ্ধার কাজে বীরত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সর্বোচ্চ মর্যাদাপূর্ণ রাষ্ট্রীয়পদক ‘বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স পদক-২০২০’ পেয়েছেন ফায়ারম্যান কামরুল হাসান।
ত্রিশাল স্টেশনে কর্মকালীন সময়ে অত্যন্ত সাহসিকতা, ঝুঁকিপূর্ণ ও সেবামূলক কাজের স্বীকৃতি হিসেবে রাষ্ট্রীয় ওই পদকে ভূষিত হন তিনি।
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের মরিচার চর গ্রামো ফয়েজ উদ্দিন ও রহিমা আক্তার দম্পত্তির ছেলে কামরুল হাসান ২০০৪ সালে বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সে যোগদান করেন।
এ বছর অগ্নি নির্বাপণ ও উদ্ধার কাজে বীরত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ রাষ্ট্রীয় পদকের জন্য ৪৪ জনকে নির্বাচিত করে বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। তাদেরমধ্যে কামরুল হাসানও ওই পদকের জন্য ভ’ষিত হন।
গত ২১ নভেম্বর রাজধানীর কাজী আলাউদ্দিন রোডে ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তরে ফায়ার সার্ভিস সপ্তাহের সমাপনী অনুষ্ঠানে ৪৪ জনকে রাষ্ট্রীয় পদক দেওয়া হয়েছে। ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরা সেবা বিভাগের সচিব মো.শহিদুজ্জামান। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসাইন।
সূচনা বক্তব্য দেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) মো. হাবিবুর রহমান। অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসাইন তাকে পদক বেইস পরিয়ে দেন।
ফায়ারম্যান কামরুল হাসান বর্তমানে নেত্রকোণা সদর ফায়ার স্টেশনে কর্মরত রয়েছেন। অধিদপ্তরের সর্বোচ্চ মর্যাদাপূর্ণ রাষ্ট্রীয়পদক পাওয়ায় নিজেকে গর্বিত মনে করে ফায়ারম্যান কামরুল হাসান বলেন, সেবামূলক এ প্রতিষ্ঠানে যোগদানের পর থেকেই মানবসেবার ব্রত নিয়ে আমি আমার দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করেছি।
অগ্নিকা-, সড়ক দূর্ঘটনাসহ সকল দুর্যোগে মানুষের কল্যাণে নিজেকে সপে দিয়েছি। ঝুঁকিপূর্ণ হলেও মানুষের সেবা করাটা নিজের দায়িত্ব হিসেবে মনে করে সবসময় কাজ করে গিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, কাজের এমন স্বীকৃতি পেয়ে নিজেকে যেমন গর্বিত বোধ করছি, তেমনি কাজের েেত্র ব্যাপক অনুপ্রাণিতও হয়েছি। সেইসাথে ২০২০ সালের এ পদকের জন্য আমাকে মনোনীত করায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের উর্ধ্বতন কর্তৃপরে প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।