স্টাফ রিপোর্টার : গভীর শোক শ্রদ্ধায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচির মাঝে ছিল বিশ্ববিদ্যালয় বধ্যভূমি গণকবর স্মৃতি ফলকে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি ও পুষ্পস্তবক অর্পন।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান, প্রো ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ জসিমউদ্দিন খান ও জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি ও ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. এ.কে.এম. জাকির হোসেন, গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরাম, সোনালী দল, শিক্ষক সমিতি, বাংলাদেশ ছাএলীগ,পরিচালক আই.এ.ডি.এস, আহবায়ক প্রভোস্ট পরিষদ, লেকচারার এসিষ্ট্যান্ট প্রফেসর ফোরাম, মহিলা সংঘ, অফিসার পরিষদ, তৃতীয় শ্রেণী পরিষদ, কারিগরি কর্মচারি সমিতি, চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারি সমিতি, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বাকৃবি প্রতিষ্ঠানিক কমান্ডসহ অন্যান্য সংগঠন ও সংস্থা কর্তৃক বধ্যভূমি, গণকবর স্মৃতি ফলকে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি ও পুষ্পস্তবক অর্পন করেন।
জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি ও ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. এ.কে.এম. জাকির হোসেন এর সভাপতিতে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান, তিনি বলেন ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ও তার দোসর রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস মিলিতভাবে পরিকল্পনা করে বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তান শিক্ষাবিদ, গবেষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, কবি -সাহিত্যিক ও বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে।
পরাজয় আসন্ন জেনে বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার লক্ষে বুদ্ধিজীবী নিধনের এই পরিকল্পনা করে হানাদার পাকিস্তানী বাহিনী। নতুন প্রজন্মকে জানানো দরকার যে, অগনিত শহীদদের আত্মত্যাগ, জনগনের পর্যায়ক্রমিক সংগ্রাম এবং মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বপূর্ণ যুদ্ধের সাফল্যই বাংলাদেশকে স্বাধীন করছিল।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, প্রো ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ জসিমউদ্দিন খান, প্রফেসর ড. এ.কে.এম.জাকির হোসেন । পরে শদীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনাকরে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মোঃ এনামুল হক।